কবিতা

বাঁধতে পারিনি কোনো সাঁকো,যখনি উদ্যমে থরোথরো আমি সাঁকোবাঁধতে গিয়েছি ফাঁকা

এভাবে কতক্ষণ বসে থাকব চোখ দুটোকে প্রতীক্ষা-কাতরকরে? তুমি কি চাও

গোধূলিবেলায় অকস্মাৎ আমার অভ্যন্তর থেকে একজন,তার ভেতর থেকে অন্য একজন,

কেন মানুষের মুখ বারবার ম্লান হয়ে যাবে?কেন আমাদের হাতে পায়রা

খারাপ লাগছে এই নিস্তরঙ্গ সতেজ সকালে।গুচ্ছ-গুচ্ছ পাতার আড়ালেফুল ফুটে আছে,

‘আচ্ছা মানুষ তো ভাই আপনি, ভোরেরসূর্য পশ্চিমের আসমানে বুড়ো মানুষের

বনের হরিণ নয়, বক নয়, নয়কো ডাহুক,ছেলেটা আনল এঁকে খাপছাড়া

লোকে বলে বাংলাদেশে কবিতার আকাল এখন,বিশেষত তোমার মৃত্যুর পরে কাব্যের

ওষুধের শিশি, থার্মোমিটার ইত্যাদি অপসৃতআমার শিয়র থেকে। রৌদ্রের বার্নিশে ঝকমকে

লঘু পায়ে ভোর এল, বারান্দায় রোদের ঝলকশুয়ে আছে কাৎ হয়ে