
মুষ্টিযোগ || Sharadindu Bandyopadhyay
মুষ্টিযোগ (Mishtijog) পুণায় আমার পাশের বাড়ির একতলায় নতুন ভাড়াটে এসেছেন,
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
অনীশ দেব
আশাপূর্ণা দেবী
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
তারাপদ রায়
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রফুল্ল রায়
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল)
বাণী বসু
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বুদ্ধদেব গুহ
মলয় রায়চৌধুরী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজশেখর বসু (পরশুরাম)
লীলা মজুমদার
শঙ্করলাল ভট্টাচার্য
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
সত্যজিৎ রায়
সমরেশ বসু
সমরেশ মজুমদার
সিদ্ধার্থ ঘোষ
সুকুমার রায়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
হুমায়ূন আহমেদ
হেমেন্দ্রকুমার রায়
মুষ্টিযোগ (Mishtijog) পুণায় আমার পাশের বাড়ির একতলায় নতুন ভাড়াটে এসেছেন,
১. প্রাচ্যের পুরাতত্ত্ব সম্পর্কে আমার বিশিষ্ট বন্ধু ওয়র্ড মর্টিমারের জ্ঞান
আমাদের রামপদ একদিন এক হাঁড়ি মিহিদানা লইয়া স্কুলে আসিল! টিফিনের
কপালি কপালি থেকে গেল। কপালির বাপ কালীপদ বলেছিল, বাবু ভালোমানুষ।
দালিয়া (Dalia) ভূমিকা পরাজিত শা সুজা ঔরঞ্জীবের ভয়ে পলায়ন করিয়া
পুজোর ছুটির পর যখন স্কুল খুলল, অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলাম
সমান্তরাল (Samantaral) পান্নালাল যখন ব্যাপারীগঞ্জে নামল তখনও ভোর হয়নি। ছোট
ডনের ভূত সেদিন সকালে চোখ বুজে একটা রোমাঞ্চকর গল্পের প্লট
আশ্চর্য প্রদীপ (Ashcharya Pradip) অনিকেত চাকরি করে একটা আধা-বিদেশি ফার্মে,
অধিক শহরের তামাশা দপদপ করে বারবার জ্বলে উঠছে মাল্টিসিটি। বিভিন্ন
কালোদৈত্য এবং পোডড়াবাড়ির ভূত মুন লেক দেখে ফেরার পথে সাংঘাতিক
বৃদ্ধ ও প্রতারক তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না। আজকাল
ঘাসবন (Ghasbon) হাতের লম্বা লাঠিটার ওপর ভর দিয়ে শরীরটাকে ঝুঁকিয়ে
রাজার মতো যাওয়া আজকাল রাত না ফুরোতেই ঘুম ভেঙে যায়।
প্রবাসী (Prabashi) ট্যাক্সিতে হেলান দিয়ে বসে সুরঞ্জন একটা বই পড়ছিল।
ভজগোবিন্দ ভোজনালয় ভজগোবিন্দ ভোজনালয়ের আমি একজন বাঁধা খদ্দের। অবশ্য এতে
ঘরের পথ (Ghorer Path) আমার বাবা গিয়েছিল বিদেশে, রোজগার করতে।
সিমেন্ট ঘাঁটতে এমন ভালো লাগে রঘুর। দশটা আঙুল সে ঢুকিয়ে
অপ্রকাশিত ছোটগল্প —কী রে! দরজা খুলে আমাকে দেখেই তোর মুখ
ঈশানে মেঘ (Ishane Megh) রাত প্রায় শেষ। দিন আসছে ভূপতিচরণের
এক ছিল মহাজন, আর এক ছিল সওদাগর। দুজনে ভারি ভাব।
যৌবন দুনিয়াখানা যৌবনের বশ। এক বুড়ো প্রায়ই আক্ষেপ করত, আর
ঘুঘু কাহিনি হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তার মোড়ে চলে এলেন সদাব্রতবাবু।
অন্দরমহল রাজা মোহন সিং ভারি অদ্ভুত ঢঙে রাজ্য চালান। ওর
পতিতার পত্র সুলোচনার নাম ভদ্রসমাজে পরিচিত হইবার কথা নয়। তবে
শশাঙ্ক টেবিলের উপর থেকে খাতাটা তুলে নিল। নীল মলাটের ছোট
নামাবলী প্রথমে নাম ছিল কালাচাঁদ হুই। সবাই কালাচাঁদ নামেই ডাকত।
ফেরারী অতীত তখনো ভালো করে ফর্সা হয়নি, বিশ হাত দূরে
পটলবাবু সবে বাজারের থলিটা কাঁধে ঝুলিয়েছেন এমন সময় বাইরে থেকে
ভালোবাসিবে বলে ভালোবাসিনে টিভিতে একটা দারুণ হরর ছবি দেখা হচ্ছিল
বিশ্বমামা ও গলদা চিংড়ি মা একদিন বিশ্বমামাকে নিজের হাতে রান্না
বেহুলার ভেলা অমিয়া বলল, পয়সা কি কামড়াচ্ছিল। কয়লাওয়ালার কাছে এখন
নীল আগুন (Neel Agun) যেরকম পথে ঘাটে হিপিদের দেখা যায়,
তবু জীবন অগাধ তুমি ভুল বুঝলেই নিশ্বাস ভারী হয়। বারোতলা
বীর্যশুল্কা রাজকুমারী সুমিত্রার আর কিছুতেই বর পছন্দ হয় না। দেশ-দেশান্তর
জলসা (Jalsha) সকলেই তাকিয়ে দেখছে আর নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে।
উদ্ধার (Uddhar) গৌরী প্রাচীন ধনীবংশের পরমাদরে পালিতা সুন্দরী কন্যা। স্বামী
মূল কাহিনি আপাতত যথেষ্ট হয়েছে। পাঠক-পাঠিকাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক গল্পের সুযোগে
মুরারিবাবুর মোটরগাড়ি মুরারিবাবুর গাড়ি কেনার পিছনে একটা জব্বর না হলেও
নন্দিতা শুনছ? শুনছ? ওঠো না গো একবার!! মাঝরাত্তিরে নন্দিতার ঠেলাঠেলিতে
হতে পারে নেপাল থেকে এসেছেন মস্ত বড় এক যোগী। দু-হাতে
বইমেলায় পটলবাবু পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে এমন কেউ কি এখনও আছেন, যাঁর
পুতলি বাই কী গোলি রমিতা খাটে বসে ছিল। জোড়াসনে। কোলের
বিশ্বমামার চোর ধরা নীলা বউদির একটা নৌকো চুরি গেছে। পরপর
কালাচাঁদ নিধিরামকে মারিয়াছে– তাই নিধিরাম হেডমাস্টার মশায়ের কাছে নালিশ করিয়াছে।
সভাপতি (Sobhapati) অনেকগুলো গল্পের বই আর দশ বারোখানা উপন্যাস লিখেছেন
ইনস্পেক্টর রনি ও অলৌকিক সার্কাস সার্কাসের বাঘের খেলা থেকেই যত
আবেশ বাঁড়জ্যেদের বাড়ির অলকার উপর তারা-মার ভর হয়েছে শুনেছ গো?–ও
যদু ডাক্তারের পেশেন্ট ক্যালকাটা ফিজিসার্জিক ক্লাবের সাপ্তাহিক সান্ধ্য বৈঠক বসেছে।
ওষুধ (Osudh) উকিলবাবু এখনও আসেননি। মক্কেলরা বসে-বসে মশা মারছে। দুর্গাপদ
হাতি-মার্কা বরাত বাজার মন্দা মানেই বরাত মন্দ। কালীকেষ্টর পড়তা খারাপ
হঠাৎ হয়ে যায় দক্ষিণের বারান্দায় বেতের চেয়ারে শরীরটাকে ছেড়ে দিয়ে
ও কুমারী রসময়বাবুর আজ বড় আনন্দ; প্রাণে রসের ঢেউ খেলিয়া
রাতের মানুষ ঝুলনপূর্ণিমার রাতে গঞ্জের মেলায় ছোটমামার সঙ্গে কলকাতায় যাত্রা
নীল রঙের মানুষ তখন খুব ভোর। ভালো করে আলো ফোটেনি!