বিষন্ন দুপুরে কবিতার ধাক্কা আসে না মনের দরজায় ,
ম্যাজম্যাজে সন্ধ্যায় হেঁটে চলি কোনো না কোনো গন্তব্যে ।
তারপর স্যাতসেতে রাত আসে , তার সাথে আসে কবিতার গন্ধ ,
বকুলতলার প্রেমমিলনের গন্ধের মতো মিষ্টি ,
শব্দগুলো ঝর্ণার মতো ঝরে পরে পাতায় ।
ঠিক সেই সময় প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগায় ইবলিশের দল , হায়নার মতন লুঠপাট চালায় , খুন করে নির্মম , নৃশংসতায় ।
ধর্মের নামে অধর্ম করে গর্বের সাথে বিকৃত উল্লাসে ।
ভালোবাসা , বিবেক , বোধ
সব হারিয়ে যায় অজানায় ।
তারপর ঘোলাটে সময় আসে ফিরে ,
শুধু ফিরে আসে না মানবিক মূল্যবোধ ,
ক্ষমতার গলিত ইচ্ছাগুলো পচা লাশ হয়ে থেকে যায় সময়ের ইতিহাসে ।
দিনের বেলায় পিশাচের হুঙ্কার শোনা যায় ,
তবুও লড়াই চলে , তবু চলে স্বপ্ন দেখার মহড়া , কেন এই অন্ধকারে ঢাকা দিনের আকাশ ।
কেন স্বপ্নগুলো সব সত্যকে মিথ্যা করে দেয় ?
শাসকের গায়ে রক্তমাখা
আলখাল্লা , বেদুইন বিন্দাসের চোখে জল , তাতে কারোর কিছু এসে যায় না ।
ধর্মের নামে অধর্ম চলে হায়নাদের তান্ডবে ,
তবু মিথ্যার ফানুস হাজির করে বেআইনি শাসকেরা , ফাঁপা আওয়াজে ভয় দেখায় , সঙ্গী খোঁজে অপদেবতাদের , তবু , তবু লড়াই চলে শুভ আর অশুভের সাথে ।
ব্যাকরণ ভুলে কবিতার খাতায় চোখের জলে আঁকা হয় গণহত্যার ছবি , ধংসলীলা , ধর্ষণ , অপহরণ , লুঠপাটের ইতিবৃত্ত ।
না না এটাই শেষ কথা হতে পারে না , এটা ধর্মকে ধ্বংস করতে পারে না ,
রক্ত মুছে বয়ে যাক জলস্রোত , হিংসা মুছে যাক , আসুক ভালোবাসা ।
আজানের পবিত্র সুরে মুছে যাক হায়নাদের কুকীর্তির ছাপ , আবার ভোর হোক , রোদ ঝলমলে সুন্দর একটা দিনের ছবি ফুটে উঠুক মানচিত্রে ।।