কবিতা

ছিল না নদী, পাহাড় অথবা প্রান্তর; শস্যের ক্ষেতেরঢেউ পড়েনি চোখে,

সে লিখবে বলে বসে আছে নির্মল সুফীর মতোগভীর রাত্তিরে। চৌদিকের

এভাবে কতক্ষণ বসে থাকব চোখ দুটোকে প্রতীক্ষা-কাতরকরে? তুমি কি চাও

দীর্ঘ ভ্রমণের পর শ্রান্তি মোহিনীর মতো ভঙ্গিঅঙ্গে এঁকে অলস আঙুলেদেখায়

যথারীতি বিষম নিয়মপরায়ণকাক চেরে ঘুম ভোরে। শয্যাত্যাগী আমিদাঁত মাজি, করি

তিন-চার মাস ধরে সমগ্র সত্তায় জ্বরোভাব। মুখ তেতোসারাক্ষণ, খুক খুক

অধ্যাপক ক্লাসরুমে রবি ঠাকুরের জীবনদেবতা নিয়েইনিয়ে বিনিয়েবরাদ্দ বক্তৃতা করছেন,যেন রঙবেরঙের

দাঁড়িয়ে এক মহান উৎসবের মুখোমুখি। ভিড়, কোলাহল, আনন্দোচ্ছ্বাস,আলোকসজ্জা ইত্যাদির মাঝখানে

ভাসমান মেঘে মেঘে উড়াল আমার,সকল সময় নয়, প্রায়শই। সবুজ পাতার

দৈন্যদশা বাড়িটার, অথচ সেখান থেকে চৌদিকে প্রখরদীপ্তি হচ্ছে বিচ্ছুরিত, ভাবে

একঝাঁক পাতিহাঁস বদ্ধ নর্দমার কাদাজলভালবেসে, ডাস্টবিন খুঁটে খায় আরজটলা পাকায়

আমার উদ্দেশে কেন এই স্তব, এই শোভাষাত্রা?আমিতো দীনাতিদিন, আমার সুকৃতি

আমার আপন টেলিফোন সেটটিকেপ্রত্যহ সস্নেহ দেখি। কখনও আলতো তুলে নিইরিসিভার,

একটি গাধাকে আমি প্রতিদিন দেখি আশে পাশে,শহরে নিঃসঙ্গ ভিড়ে, আমার

মোরগের গর্বিত ঝুঁটি, স্বপ্নে-দেখারক্তিম ফুলের উন্মীলন, অন্ধকার ঠেলেঘোষণা করে, আজ