কবিতা

পালাবে? পালিয়ে যাবে? আখেরে পালিয়ে যেতে চাও?ভাবছো কি না পালিয়ে

গর্ব করবার মতো কিছু নয়, সামান্যই পুঁজি।রোদ আনতে চাঁদিনী ফুরায়;

দূরে বা কাছেইমৃত্যু তো আছেইওত পেতে, ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে তোমার

ছিলাম নিজেরই ঘরে নিরিবিলি, রাত আড়াইটা, অন্ধকারছিল না তেমন গাঢ়,

একদা আমাকে তুমি দিয়েছিলে ঠাঁই মমতায়।আমিও তোমাকেদিনের সোনালী ছটা রাত্রির

হাতের বিষয়ে আমি প্রায়শই ভাবি। প্রতিদিননা হলেও কোনো কোনো দিন

শহর-মরু বিজন বড়,নীরব তো সব গায়ক পাখি।আন্তিগোনে, আন্তিগোনেরুক্ষ পথে ব্যাকুল

(শহীদ কাদরীকে) প্রতিটি দরজা কাউন্টার কনুইবিহীন আজ। পা মাড়ানো,লাইনে দাঁড়ানো

হঠাৎ মধ্যরাতে কেন যে উধাও হল ঘুম,বুঝতে পারিনি। অনেকক্ষণ জানালার

কখনো কখনো এরকম হয়, দেরাজ, কুলুঙ্গিখুঁজে পেতেএকটি ডাগর মোমবাতিবের করি,

যে-রাত্রির পাস্টেরনাক দেখেছেন সাদা প্রান্তরেরবরফের স্তূপে, নেকড়ের ক্ষুধিত চিৎকারে ছেঁড়াশূন্যতায়,

রোজ নয়, মাঝে মাঝে অতিদূর লোকশ্রুত একভাস্করের উপকথা ভেসে ওঠে

বহু রক্তপাত, বহু ধ্বংস আর সৃজনের অন্তরঙ্গএকটি শতাব্দী অবসিত হলে

একটু পরেই যাত্রা আমার, অথচ ফ্লোরিডারকিসিমি শহর রইল চুপচাপ, নির্বিকার;বলল

[সালেহ চৌধুরী বন্ধুবরেষু] মধ্যরাতে একা রিক্‌শা থেকে নেমে দেখি, কী