সুবিচার চাই
আর জি কর মেডিকেল কলেজে ‘অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে’ জুনিয়ার ডাক্তাররা বিচার চেয়ে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন।
তার রেশ ধরে একজন মহিলা নাট্যকর্মী তাদের প্রতিবাদে সামিল হতে ১৪ই আগষ্ট রাতে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে, রাত দখলের জন্য মেয়েদের ডাক দেন, তার ফেসবুক ওয়ালে। তার সেই ডাক প্রথমে তার বন্ধুদের মধ্যে ছড়িযে পড়ে এবং পরে তা ভাইরাল হয়ে একসময় সারা বাংলার মহিলাদের ‘রাত দখলের ডাক’ হয়ে ওঠে।
বাংলার মেয়েরা নিজেদের ফেসবুকে ওয়ালে আবেদনটি শেয়ার করতে থাকে। প্রচুর মহিলা এই আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই দিন (১৪ই আগষ্ট) রাতে কে কোথায় জমায়েত হবেন তার জাযগা নিজেরাই নির্বাচন করে জানায়। সেই মতো পাড়ায় পাড়ায় তার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। পাড়ার মেয়েরা দল বেঁধে, দল মত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হতে অভূতপূর্ব ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন স্বাধীনতার পরে আর দেখা যায়নি।
পাটুলি উপ-নগরীর বাসিন্দা মহিলারা পাটুলী মোড়ে জড়ো হয়ে, সেখানে এই প্রতিবাদ সামিল হয়ে আন্দোলন সমাবেশ করেবেন বলে ঠিক হয়। পাটুলী উপনগরীর বাসিন্দা রুমা ব্রহ্ম পাড়ার মেয়েদের সঙ্গে সেখানে যাবেন বলে মনস্থির করেন। সে তার বর সোমনাথকে সেকথা জানায়। সোমনাথ তার কথা শুনে, তাকে সায় দিয়ে বলে, হ্যাঁ নিশ্চয়ই যাবে তুমি।
সেই মতো রুমা পাড়ার প্রতিবেশী মহিলাদের কাছে গিয়ে, তাদের সঙ্গে যাওয়ার ইচ্ছে, তাদের কাছে গিয়ে প্রকাশ করেন। তারা শুনে খুশি হয়ে বলে, নিশ্চয়ই তোমায় নিয়ে যাব। তুমি রাত এগারোটার মধ্যে রেডি হয়ে থেকো। আমরা ডাকলেই যাতে তুমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারো।
– আচ্ছা বলে, রুমা বাড়ি ফিরে আসে মনে খুশির রেশ নিয়ে।
এইরকম সমাবেশে রুমা কোনও দিন অংশ গ্রহণ করেননি। তাই সে ভিতরে ভিতরে একধরণের উত্তেজনা অনুভব করে।
অন্যদিন তাদের রাতের খাবার খেতে সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা বেজে যায়। মেয়ে ঝুমাকে তার আগেই দশটার মধ্যে রুমা খাবার দিয়ে দেয়। ঝুমার খাওয়া শেষ হলে, রুমা সোমনাথকে খাবার জন্য ডাক দেয়। সোমনাথ একটা হাই স্কুলে বাংলা পড়ায়। নিজে কবিতা লেখে। তা কাগজে প্রকাশিত হয়। সেই সব কাজ করতে করতে তার একটু রাত হয়ে যায়, তাই খেতে দেরী হয় এতো। রুমা খেতে ডাকলে সে লেখার টেবিল ছেড়ে উঠে আসে রান্নাঘরে।
ঝুমার বয়স এগারো। সে ক্লাস ফাইভে যোদপুর গার্লস স্কুলে পড়ে। তাকে অনেকটা ডল-পুতুলের মতো দেখতে লাগে। গাল দু’টি ফোলা ফোলা। রঙ গোলাপী। তার চুল কালো কোঁচকানো। চোখে মুখে সব সময় একটা দুষ্টি-মিষ্টি হাসি লেগে থাকে। তার আচরণও খুব সরল সহজ আন্তরিক। এই হাসি আর হাসিখুশি অকপট আন্তরিক আচরণের জন্যই সকলকে আপন করে নিতে তার বেশি সময় লাগে না।
১৪ই আগষ্ট ওরা সকলেই রাত দশটার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সেরে নেয়। রুমা শাড়ি পরে রেডি হয়ে থাকে, যাতে ওরা কেউ এসে
ডাক দিলেই সে বেরিয়ে পড়তে পারে।
একটু পরেই পাড়ার নীলিমাদি এসে ডাক দেয়, রুমা তুমি তৈরী তো? তবে চলে এসো।
তার ডাক শুনে রুমা বলল, হ্যাঁ, নীলিমাদি, আমি রেডি। আসছি এক্ষুনি। রুমাকে বেরোতে দেখে ঝুমা আবদার ধরল, মা আমিও তোমার সঙ্গে যাব। রুমা তাকে বলল, মা ছোটরা সেখানে যায় না। ঝুমা তা শুনে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, আমি তো আর ছোট নেই মা, অনেক বড় হয়ে গেছি।
নীলিমাদি আবার তাড়া দিল, কি হল, রুমা বেরোচ্ছ তো তুমি?
রুমা দরজা খুলে বলল, হ্যাঁ চলো।
নিলীমার সঙ্গে তার মেয়ে বাবলিও যাচ্ছে দেখে,
ঝুমা আবার জোর আবদার করল, আমিও তোমাদের সঙ্গে যাব মা। বাবলিও তো যাচ্ছে।
আসলে রুমার ইচ্ছে নয়, ঝুমাকে এ সবের মধ্যে নিয়ে যাওয়া, যেখানে খুনের সঙ্গে ধর্ষণের ব্যাপার আছে।
সোমনাথ খাওয়া-দাওয়া সেরে, লেখার টেবিলে গিয়ে বসে ছিল। এসব নিয়ে একটা প্রতিবাদী লেখা লিখবে বলে। দরজার সামনে থেকে রুমা তাকে ডেকে বলল, ওগো শুনছো, ঝুমাও আমাদের সঙ্গে যেতে চাইছে।
সোমনাথ তা শুনে বলল, তা নিয়ে যাও না। অসুবিধা কোথায়?
অসুবিধাটা যে কোথায়, তা রুমা নীলিমাদির সামনে চিৎকার করে সোমনাথকে জানাতে পারল না। অবশেষে তাই রুমা বলল, ঠিক আছে তুমি দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে যাও।
সোমনাথ বলল, আচ্ছা।
ওরা রাস্তায় বেরিয়ে এলো। পাটুলীর মোড়ে এসে দেখল, কী ভিড়! কী ভিড়! শুধু তাদের পাড়াই নয়, আশে পাশের পাড়াগুলি থেকেও কত কত সব মেয়েরা বেরিয়ে এসেছে। সমস্ত উপনগরীর মেয়েরাই যেন ঘর ছেড়ে পথে নেমে এসেছে আজ, মনে হচ্ছিল রুমার। কয়েকজন পুরুষও আছে সেখানে। তারাও মেয়েদের সমর্থনে বেরিয়ে এসেছে। একটা রাত-উৎসবের চেহারা নিয়েছে পাটুলী মোড়।
ওরা স্বাধীনতা দিবসের কথা সকলে শুনেছে। কেউই স্বাধীনতা দেখেনি, স্বাধীনতার পরে ওদের জন্ম। এ রাতটা যেন সত্যিই একটা নব-স্বাধীনতা উৎসবের রাত। যদিও রাতটা শোকার্ত। সকলেরই দাবী ‘আর জি কর মেডিকেল কলেজে অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের বিচার চাই, বিচার চাই।’ সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছিল। আর ঝুমা তা দেখে, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েছিল। পুজোর কোন অষ্টমীর রাত বলে মনে হচ্ছিল তার কাছে। সে সকলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগানে ধুয়া তোলার মতো বলছিল, ‘বিচার চাই, বিচার চাই’।
অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে থেকে, ভোরের দিকে তারা বাড়ি ফিরেছিল।
সোমনাথও ওদের বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত রাত জেগে টিভিতে মেয়েদের প্রতিবাদ দেখছিল। স্বাধীনতার আগের রাত জেগে মেয়েদের প্রতিবাদ করার বিভিন্ন জায়গার ছবি দেখছিল সে। এমন কি গ্রাম-গঞ্জের মেয়েরাও রাত জেগে, এই প্রতিবাদ করা থেকে বাদ যায়নি। প্রতিবাদের নতুন এক আঙ্গিক, এমন অভিনব প্রতিবাদের ধরণ সোমনাথ এর আগে জীবনে কখনও দেখেনি। সেও ভিতরে ভিতরে অনুপ্রেরণায় ফুটছিল এই নিয়ে একটা কবিতা লিখবে বলে।
ভোর রাতে ঘুমাবার ফলে ওদের ঘুম ভাঙতে সকাল সাড়ে আটটা বেজে গেল। আজ অবশ্য রুমার কোন তাড়া নেই। কারণ, আজ মেয়ে আর বর দু’জনেরই স্কুল ছুটি। অন্যদিন হলে রুমার এতক্ষণে রান্না শেষ প্রায় করতে হতো। অন্যদিন হলে, ওরা দু’জনেই খাওয়া-দাওয়া সেরে, সাড়ে ন’টার মধ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ত। আজ সে তাড়া নেই বলে রুমার মুক্তি। সে হাত-মুখ ধুয়ে চা করতে গেল রান্নাঘরে। সোমনাথ ঘুম থেকে উঠে, কালকের ভাবা কবিতাটা লিখতে বসল।
ঝুমা ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুতে ধুতে ভাবল, আচ্ছা খুন মানে তো হত্যা করা বোঝায়। কিন্তু ধর্ষণ মানে কি? সে তো জানে না।
সে হাত মুখ মুছে মায়ের কাছে রান্না ঘরে গিয়ে হাজির হল। মার কাছে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা মা ধর্ষণ মানে কি? মা তার এই প্রশ্ন থেকে নিজেকে এড়াবার জন্য বলল, আমায় এখন বিরক্ত করো না তো। দেখছো না, আমি চা করছি এখন। তোমার কথার দিকে মন দিলে, আমার এখন হাত-টাত পুড়ে যেতে পারে। ঝুমা মার এই কথা শুনে মার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভাবল, বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে। সে তাই বাবার ঘরের দিকে গেল। দেখল বাবা এখন লেখায় ব্যস্ত। এই সময় বাবার সাথে কেউ কথা বললে বাবা খুব বিরক্ত হন। তাই সে বাবার ঘরে না ঢুকে নিজের ঘরে চলে এলো।
ঘরে রাজশেখর বসুর চলন্তিকা অভিধানটা আছে। ঝুমা সেটা বের করে দেখল ধর্ষণ মানে পীড়ন।অত্যচার। বলাৎকার।
পীড়ন অত্যাচার না হয় বোঝা গেল। কিন্তু বলাৎকার মানে কি?
রুমার তখন চা করা হয়ে গেছে।
সে সোমনাথের ঘরে চা বিস্কুট দিয়ে এলো। ঝুমাকে একগ্লাস দুধ আর দুটো বিস্কুট দিল খেতে। আর নিজের জন্য এককাপ নিয়ে সে রান্না ঘরে বসে খেতে খেতে, খবরের কাগজ খুলে দেখে, তারা যখন রাত জেগে অভয়ার খুন ও ধর্ষণের সুবিচার চাইছিল। ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতিকারী আর জি কর মেডিকেল কলেজে ঢুকে ই এন টি এবং এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে হামলা ও ভাঙচূর চালায়। তছনচ করে দেয় এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট। প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করে। পুলিশ তাদের প্রতিরোধ করার বদলে, ডাক্তার ও নার্সদের মতো প্রাণ রক্ষা করতে বাথরুমে লুকায়।
সোমনাথের কবিতাটা লেখা শেষ হয়ে গেছে দেখে, সে চায়ে চুমুক দিতে দিতে নিজের লেখাটা কবিতাটা মনে মনে পড়তে লাগল।
‘এইভাবে সমবেতভাবে গর্জে ওঠা যায়
কেউ কোনদিন দেখেনি,
স্বাধীনতা পূর্ব রাতে করে দেখালো নারী
তোমরাই তো অসুরদলনী।
দুর্গাকে মৃন্ময়ী দেখেছি
কখনও চিন্ময়ীরূপে দেখিনি
তোমাদের সকলকে দুর্গারূপী দেখে আজ
নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি।
তোমাদের আহ্বানে ছুটে গেছি পথে
আমিও যে আছি তোমাদের শপথে।’
নিজের মনে মনে পড়ে খুবই তৃপ্তি পেল।
কবিতার নাম দিল – নারী গর্জন।
বাবাকে খুশি মনে চা খেতে দেখে, ঝুমা দুধ – বিস্কুট শেষ করে বাবার ঘরে এসে ঢুকল। তাকে দেখে সোমনাথ বলল, কি রে মা, কিছু বলবি?
-হ্যাঁ বাবা।
-বল। বলে সোমনাথ তৃপ্তি করে চায়ে আবার চুমুক দিলেন।
ঝুমা বলল, আচ্ছা বাবা বলাৎকার মানে কি?
মেয়ের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে, সোমনাথ প্রথমটা হকচকিয়ে গেলেন। তারপর খুব শান্ত গলায় স্নেহের সুরে বললেন, এই কথাটা তুই কোথায় শুনেছিস?
-কোথাও শুনিনি বাবা
-তবে যে জানতে চাইছিস?
-কাল শুনেছিলাম, অভয়ার খুন ও ধর্ষণের বিচার চাই। খুন তো বুঝলাম, হত্যা করা। কিন্তু ধর্ষণ মানে কি জানি না। সকাল বেলা যখন মা চা করছিল, তখন তার কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, মা ধর্ষণ মানে কি?
মা বিরক্ত হয়ে বলল, এখন আমি চা করছি দেখছো না। এখন তোমার কথা শোনার দিকে মন দিতে হলে, আমার হাত পুড়বে।
ঝুমার মুখে একথা শুনে সোমনাথের বুঝতে বাকি রইল না, রুমার হাত না পুড়লেও, সে কথার উত্তর দিতে গেলে হয়তো রুমার মুখ পুড়তো।
ঝুমা আবার বলল, তারপর এসে দেখলাম, তুমি লেখায় ব্যস্ত, তাই তোমাকে আর বিরক্ত না করে, ঘরে গিয়ে চলন্তিকা অভিধান খুলে দেখলাম, ধর্ষণ মানে পীড়ন।অত্যচার। বলাৎকার। পীড়ন।অত্যাচার মানে বুঝেছি। কিন্তু বলাৎকার মানে কি?
ঝুমার মুখে সব কথা শুনে, সোমনাথ বলল, ও আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি এবার।
বলাৎকার মানে হলো, বল পূর্বক মানে জোর করে কারও মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে নির্যাতন করা।
-যেমন? ঝুমা জানতে চাইল।
-এই ধর তোর কান দু’টি ধরে কেউ মুলে দিল, মানে তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোকে পীড়ন করল। আবার ধর কেউ তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোর গাল দু’টি কেউ টিপে দিয়ে তোকে অত্যাচার করল।
আরও স্পষ্ট করে সোমনাথ ঝুমাকে ইঙ্গিত করে বোঝাবার জন্য বলল, কিংবা ধর তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোকে আদর করার নামে চুমু খেয়ে নির্যাতন করল। সবগুলিই বলাৎকারের পর্যায়ে পড়ে।
-ও আচ্ছা। এবার বুঝতে পেরেছি বাবা, বলে ঝুমা চলে গেল।
মা তখন চা খেয়ে এসে, ঘরে ছড়ানো জামা-কাপড়গুলি গুছিয়ে তুলে রেখে, বিছানার চাদরটা টানটান করে পাতছিল।
ঝুমাকে ঘরে আসতে দেখে বলল,কি কথা হচ্ছিল বাবার সঙ্গে এতক্ষণ।
ঝুমা বলল, ধর্ষণ কি? বাবা সুন্দর করে বুঝিয়ে দিল।
-কি বোঝাল, শুনি?
সোমনাথ যা যা বলেছিল, ঝুমা তা হুবহু তুলে ধরল রুমার কাছে।
রুমা শুনে বলল, হ্যাঁ তোর বাবা তো ঠিক কথাই বলেছে।
ঝুমা অভিমানের সুরে বলল, হ্যাঁ বাবা সব সময় ঠিক কথাই বলে, তোমার মতো না।
-আমি আবার কি করলাম? রুমা প্রশ্ন করে।
-আগে তো তোমার কাছেই জানতে গেছিলাম।
তুমি, চা করছি বলে, আমাকে রান্নাঘর থেকে ভাগিয়ে দিলে।
রুমা শুনে, মেয়েকে কাছে টেনে নিয়ে, তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, বুঝেছি এবার, সেজন্য তোর অভিমান হয়েছে আমার উপর।
আজ সেই আন্দোলন নিয়ে সারা বিশ্ব উত্তাল।
আন্দোলনের ঢেউ, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে আছড়ে পড়েছে সুনামির মতো।
এ ব্যাপারে ভারতের রাষ্ট্রপতি, দ্রৌপদি মুর্মু বিচলিত হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোন সভ্য সমাজ, মা বোনদের উপর নির্যাতন মানতে পারে না। আর জি করে যা ঘটেছে, তা নিয়ে আমি হতাশ। ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি যখন পড়ুয়া, চিকিৎসক, নাগরিকরা কলকাতায় বিক্ষোভ করছিল, তখন অপরাধীরা আর জি করে তান্ডব চালিয়েছে। নাবালিকারাও তাদের শিকার হয়েছে। এ জিনিষ চলতে দেওয়া যায় না। মহিলাদের উপর অপরাধ আর বরদাস্ত নয়। অনেক হয়েছে।’