একটা সরল সোজা মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করছে তোমরা,
তার সত্য কথা বলা তোমাদের সহ্য হচ্ছে না,
তার সততা তোমাদের আর পছন্দ হচ্ছে না।
তাকে রাজ্য ছাড়া করেছো,
আচমকা তাকে তার ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছো
মিথ্যে ভয় দেখিয়ে বিমান বন্দরে,
ঘর বাড়ি যেমন ছিল, ওভাবেই এখনও পড়ে আছে,
যে বইটা পড়ছিলাম, সেটা ওভাবেই খোলা,
লেখার খাতাটাও ওভাবে,
কলমের নিব খোলা থেকে থেকে কালি শুকিয়ে গেছে সম্ভবত,
লেখকের কলমের কালি শুকিয়ে ফেলতে চাইছো তোমরা।
লেখককে তার লেখার ঘরে যেতে দিতে চাইছে না,
লেখককে বন্দি করেছে, যেভাবে কোনও
ঘৃণ্য হত্যাকারীকে বন্দি করো।
যেভাবে ফাঁসি দেওয়ার জন্য রেখে দাও দাগী আসামীকে,
সেভাবে আমাকে রেখে দিয়েছে,
কোথায় কোন গুহায় রেখেছো কাউকে জানতে দিচ্ছো না,
পৃথিবীর কাউকে না, আমাকেও না।
লেখককে ভাবতে দিতে চাইছে না,
লেখককে লিখতে দিতে চাইছে না,
লেখককে বাঁচতে দিতে চাইছো না,
তোমাদের না-চাওয়াগুলো স্পষ্ট দেখছে পৃথিবী।
ভাবনা কী!
তোমাদের বশীভূত লেখকেরা,
পোষ্য ঐতিহাসিকেরা
স্বর্ণাক্ষরে তো লিখেই রাখবে ইতিহাসে তোমাদের নাম?