স্মরণাতীতের রৌদ্রভূমি
সেখানে এনেছো তুমি,
স্পষ্ট লেখা
নিবিড় ঘাসের গূঢ় রেখা
কচি নাচে
অঙ্গের আসঙ্গে ডুবে আছে
শ্যামতির মাঠে ;
মেঘোৰ্ত্তীর্ণ শূন্যের ললাটে
এক জোড়া পানকৌড়ি তীর বেগে দূরে যায়
মধ্যাহ্নে বার্নিশ করা আকাশের গায়,
মনোপারে তীর পায় ;
কানের অচেনা পটে ভাষার বুনুনি
ঝুমঝুমি আদি কথা শুনি
মানে যার অশব্দ কাকলি,–
যেটুকুতে কাজ চলে শুনি আর বলি।
যে-কোনো দু-জনে গল্পে চলে রাস্তা দিয়ে
ছলছল বুকে যায় আত্মীয় বুলিয়ে,–
ভাবি ডেকে প্রশ্ন করি অন্য কোন দিনের কুশল
কত কাল ভুলে যাওয়া জন্মফল ;
পাড়ার প্রত্যেক বাড়ি বিস্ময় আঙুল তুলে বলে :
অন্য সংসারের চিমনি তলে
কোন এ শীতের লগ্নে উৎসবের বেলা এলো ফের,–
ধোঁয়া ওঠে কুণ্ডলী প্রশ্নের ॥