একটি নিষিদ্ধ মীড় জেগে ওঠে বারবার রক্তের ভিতর,
ডেকে আনে নীল ময়ূরের
শোভা চিদাকাশে আর মোহান্ত বৃক্ষের
কাছে নিয়ে জপায় ফলের লোভনীয় বর্ণমায়া।
সে লোভ দমন করে বৈরাগ্যের গৈরিক ধুলোয়
পাখির ধরনের স্নান সেরে
চলে যাব কীর্তনীয়া আখড়ায়, তেমন ঔদাস্য
আজ অব্দি আয়ত্ত করিনি।
কী গুণ যাপিত মুহূর্তে, সে প্রসঙ্গ না টেনেও
সকালবেলার
অস্পষ্ট চাঁদের মতো কিছু স্মৃতি মনের কার্নিশে
ঝুলে থাকে এবং তুমিই স্মৃতি আজ।
মনে পড়ে, ছিলে দূরে, অত্যন্ত নেপথ্যে, বলা যায়।
কবিতা নিমেষে বড় অনাদৃত সেবাশ্রম থেকে তুলে এনে
তোমাকে আমার বাম পাশে।
বসিয়ে দিয়েছে।
বস্তুত তোমাকে স্বপ্ন-গোধূলিতে আলিঙ্গন করি, চুমু খাই
এবং তোমার হাত ধরে
বাগানে বেড়াই। শোনো, কখনো তোমাকে আমি বলি না মহিলা,
যা বলি কারো তা জানা নেই, তুমিও জানো না।