কবিতা

নিউইয়র্কের উডসাইডে এক তেতলা অ্যাপার্টমেন্টেভোরবেলা এলো তোমার টেলিফোন। হাজার হাজার

কোনও কোনও মধ্যরাতে ইচ্ছা হয় তারাদের রূপালি আড্ডায়গিয়ে বসি, গল্প

কালেভদ্রে একটুখানি দেখার জন্যেঘুরে বেড়াই যত্রতত্র, দাঁড়িয়ে থাকিপথের ধারে।রোদের আঁচে

আজকাল প্রায়শই অনিদ্রা-পীড়িত রাত কাটে। মাঝে-মাঝেধু ধু ক্লান্তি দু’চোখ বিছিয়ে

কী কাজ আমার, যদি চাও জেনে নিতে, তবে ঘরেএসে দেখে

একজন ভিখিরী একটি টাকা অথবা আধুলি ভিক্ষা চায়আজকাল, একজন রাজনীতিবিদভোট

নিজের ঘরের দেয়ালের কানে চাপা কণ্ঠস্বরেপ্রার্থী হই অতিশয় দীন কোনো

আবার যাবে কি চলে অভিমানে দীর্ঘ পরবাসেআমাকে খরায় ফেলে? পথক্লেশ,

আমার গায়ে সদ্য কাদার গন্ধ পেয়েঅলপ্পেয়েচামচিকের দলঝটিতি হয়ে উঠেছে চঞ্চল।

খরায় ছিলাম আমি দীর্ঘকাল, গূঢ় চাষাবাদহয়নি কিছুঁই ; ঠোঁট ফেটে

ডিমের খোলের অন্তস্থলে যেতে ভারি ইচ্ছে হয়।সেখানে প্রস্থান করি যদি,কেউ

বহু বছর আগে লিখেছিলাম এক সনেটে-‘যে-তুমি আমার স্বপ্ন, অন্নজল, অস্তিত্বের

ভেবেছি তোমাকে পার্কে নিয়ে যাব, অথচ সেখানেউঠতি গুণ্ডার টাঙ্কি, শিস।ভেবেছি

শুধু প্রশ্নে আমি, উড্ডীন যে-প্লেন কোনো দিনপারে না নামতে নিচে