কবিতা

অন্তর্গত নৈঃসঙ্গে আমার দিন যায়, তুমুল ভিড়েও আমিনৈঃসঙ্গের তুষার-তুফানে ডুবে

কিশোরটি কেমন আলাদা যেন, হৈ চৈ থেকে দূরেনিজেরই ভেতরকার অত্যন্ত

লোকটাকে, সকল সময় নয়, কখনও সখনওদেখি, বেশি দেখি দূর থেকে,

যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে রাত্রিদিন আমার নিঝুমবুকের কন্দরে একাকিনী,তাকে চিনি

সর্বদা-ক্ষুধার্ত এক মাংসাশী পাখিকে প্রায়শআমি তো আপনকার মাংস কেটে কেটে

সজীব সকালে চোখ মেলি, প্রতিদিনের পৃথিবীআমাকে জানায় অভিবাদন। টাটকা রোদ,পাখিদের

দাগী অপরাধী ঠাউরে নিয়েশহীদ মিনারকে ওরা গ্রেপ্তার করেছে, গোঁয়ারশেকলে বেঁধেছে

কিছুদিন হলো ভারি বদরাগী ব’লে বদনামরটেছে আমার।অথচ বন্ধুরা জানে যখন

বহু রক্তপাত, বহু ধ্বংস আর সৃজনের অন্তরঙ্গএকটি শতাব্দী অবসিত হলে

ভরাট চাঁদের সঙ্গে করোটি বদল করে প্রবীণ চণ্ডালপোয়াতির উদরের মতোমাটির

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,তোমাকে পাওয়ার জন্যেআর কতবার ভাসতে হবে

বিবর্ণ হাতলহীন একটি চায়ের কাপ পাঁচ মুখে ঘুরেচলটে-ওঠা বেশ নড়বড়ে

এখন যেখানে আছি, কস্মিনকালেও এখানেআসতে চাইনি।একটা ঘোরের মধ্যে এখানে আমার

বেলা তো অনেক হলো। এরই মধ্যে গুছিয়ে ফেলারকথা ছিল সব