আমি ধাবিত হই
অসমাপ্ত আকাঙ্ক্ষার পিছু,
শূন্যতা হইতে আরেক শূন্যতায় করি গমন কিছু ।
চিন্তায় ভাবিলাম—একদিন পূর্ণতায় উঠিব ভরি,
জীবনের সকল প্রাপ্তি হইবে আমার পরিচয় জড়ি।
কিন্তু আজ দাঁড়াইয়া আছি আয়নার সম্মুখে,
দেখি—আমার অন্তর শূন্যে গর্জে নিঃসীম মুখে।
যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, সবই মোহের প্রতিচ্ছবি,
স্পর্শ করিলে লয় হয়, রহে না তাহার কণামাত্র রবি।
আমি এক অস্তিত্বহীন উপমা, নামহীন, রূপহীন,
আমার শরীর গঠিত শুধু শূন্যতার আঁধারহীন ।
পদে পদে ধুলি ও বিষাদে আঁকা পথের রেখা,
স্মৃতির বাতায়নে বাজে কেবল শূন্যতার একা একা।
চেয়েছিলাম যাহা, তাহা পাই নাই হৃদয়তলে,
আকাঙ্ক্ষা আজ নিভৃত বেদনায় নিঃশব্দ জ্বলে।
সকল প্রাপ্তি রহিল শুধু মায়ার এক ছায়াপথে,
জীবনের উৎসব ডুবে রহে নীরব ব্যথার রথে।
আমি কে? এই প্রশ্নে জ্বলি অন্তরের অন্তস্থলে,
নিরুত্তর হইয়া ফিরি, ক্লান্তি জড়ায় মনের মেলে।
আজন্ম যে শূন্যতায় গড়া এই প্রাণের কাব্যরূপে,
তাহারই মাঝে হারাইলাম আমি—চিন্তাহীন এক অনুরূপে।