Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » বিবেক || Sanjit Mandal

বিবেক || Sanjit Mandal

বিবেক কি কথা বলে সকলের অন্তরের অন্তঃস্থলে?
শিশু বালিকার যদি রক্ত ঝরে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপরে?
কেউ চুপ করে থাকে, মুখ লুকায় আর কেউ আড়ালে টিপ্পনী করে।
অবোধ বালিকা শুধু মাথা খুঁড়ে মরে এ দুয়ারে ও দুয়ারে।
লজ্জা স্থান হতে তার অঝোরে রক্ত ঝরে।
কথায় জড়তা আছে, বয়স মাত্র বারো,
সবে ফুলকলিকা সে, ফোটেনিকো ভালো করে,
তবু তার উপরেই শিকারির চোখ পড়ে,
ছিঁড়ে খুঁড়ে খায় তারে, কুসুম কলিকাটিরে
পাশবিক ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয় রাস্তার ধারে ।
ধর্ষকদের থাকে না বিবেক,
হোক না সে শিশু বালিকা বা নাবালক।
কন্যা সমা নাকি ভগিনী সমা সে বিচার থাকে না তার ,
মাতৃসমা কেও ছড়ে না ধর্ষক এতোটাই নির্লজ্জ বেপরোয়া ঘৃণ্য লোক।
প্রবীণা বৃদ্ধা হোক, এমনকি হোক মৃতদেহ,
ধর্ষকের লালসা হতে বাদ যায় নাকো আর কেহ।
শকুনির চোখ তার, পলক পড়েনা আর
কচি হোক কাঁচা হোক, প্রবীণা প্রবৃদ্ধা হোক
চোখ তার সবার উপরে,
জীবিত বা মৃত পশু বলাৎকার করে
কবরের মড়াকেও তুলে এনে লালসা মেটায়,
নরপশু এরা ছাড়া আর কারা হতে পারে?

ব্যথা আর যন্ত্রণায় সে বালিকা হাহাকার করে।
উজ্জয়িনীর দুয়ারে দুয়ারে মাথা খোঁড়ে সাহায্যের তরে।
রক্ত অঝোরে ঝরে, লজ্জা স্থান হতে-
ব্যথা আর যন্ত্রণায় কাঁদে সে চীৎকার করে,
সবাই দরজা বন্ধ করে মুখের উপরে,
মেয়েরাও দূর করে দেয় তারে অত্যন্ত ঘৃণা ভরে।
ধর্ষক কখনো কি বিবেকের ধার ধারে,
আদিম রিপুর ডাকে খুবলে খায় মেয়েটাকে,
বোকাসোকা গ্রাম্য হাবা, ধর্ষণ করা সোজা,
বোধবুদ্ধি নেই একেবারে।
অটোয়ালা একা পেয়ে খোবলায় তারে।
প্রতিরোধ প্রতিবাদ কিছুই জানে না সে,
অবোধ বালিকা শুধু কাঁদতেই পারে।
অপরিণত সে শরীরের লজ্জা স্থান হতে
অঝোরে রক্ত ঝরে,
রক্তাক্ত মেয়েটা ঘোরে দুয়ারে দুয়ারে
সব লোক দরজা বন্ধ করে তার মুখের উপরে।

সভ্যতার ধুনি জ্বেলে যারা বসেছিলো ভূপালে,
উজ্জয়িনী পারে, উপাসনা ঘরে,
এ লজ্জা কি সকলের হৃদয় স্পর্শ করে?
রক্তস্নাত মেয়েটার ভিডিও ভাইরাল হলে
লজ্জা পায়, চমকে ওঠে, আড়মোড়া ভাঙে সকলে,
লোক জানাজানি হয়ে গেছে তাই
সকলেই প্রথাগত বিবেকের কথা বলে,
ধামাচাপা দিতে হবে নইলে মুখ পুড়ে যাবে,
মাথা হেঁট প্রশাসন ভাবে এ কথাটাই।
মুখেই বিবেক, সাহায্য করে না কেউই,
দয়া হয় এক প্রভুজীর, এক আশ্রম বাসীর,
মেয়েটাকে নিয়ে যায় চিকিৎসালয়ে,
পুলিশে খবর দেয়, বিবেকের তাড়নায়,
সেলাম জানাই তাকে, মানবিক সে।
অপারেশনের সময়, যন্ত্রণায় সে মেয়েটি নীল হয়ে গেলে,
ডুকরিয়ে কেঁদে ওঠে চীৎকার করে।
ব্যথার সে চীৎকার হৃদয় স্পর্শ করে পুলিশ কর্তার
চিকিৎসার দায়ভার নেবে, কথা দেয় সে।
নারী সুরক্ষা বিল আইনের বইয়ের ভিতরে
অট্টহাস্য করে-
বিবেক কেবলই মাথা নাড়ে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *