বাটি রহস্য
এই জানিস কাল সন্ধ্যায় বাটি হাতে দাঁড়িয়েছিলাম।
কি বলছিস তোর মতোন একজন কোটিপতি বাটি হাতে রাস্তায়। কেন কি হয়েছিল বল তো। জানি তোর টাকা পয়সার কোন অভাব নেই। তবুও কি এমন হলো যে তোকে বাটি হাতে রাস্তায় দাঁড়াতে হলো। এই কথা শুনে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে রে। কি হয়েছিল আসলে একটু বলবি কি?
কাল বাটি হাতে রাস্তায় দাঁড়াতে খুব ভালো লাগছিল। বহুদিন ইচ্ছা হচ্ছিল কিন্তু সময়ের জন্য পারছিলাম না।
কাল সন্ধ্যাতে অনেক অনেকদিন পর ফ্রেশ অক্সিজেন পেলাম রে।
আরে সবটাই তো বুঝলাম কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি এলো যে তোকে বাটি হাতে রাস্তায় দাঁড়াতে হলো।
আর বলিস না বন্ধু, তুই তো জানিস কাল সকালে ব্যাবসার প্রয়োজনে খুব ভোরবেলা নিজের গাড়িতেই বেরিয়ে গেছিলাম পূর্ব বর্দ্ধমান। সারাদিন ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং করবার পর ওখানকার একটা নামিদামী রেস্তোরাঁয় গিয়ে আয়েশ করে খেয়েদেয়ে এসে আমার সহযোগীর সাথে পুনরায় কথাবার্তা বলে ওখান থেকে বেরিয়েছিলাম।
সব বুঝলাম কিন্তু আসল কথাটা বল না ভাই।
আরে এতো উতলা হচ্ছিস কেন। শোন না বলছিই তো।
আচ্ছা চুপ করলাম। আসলে মাথা খারাপ করে দিচ্ছিস তুই।
তোর এতো ধৈর্য্য কম জানতাম না তো। আমার ব্যাবসাটা তুই তোর শ্রম দিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিস। এতো ধৈর্য্য ধরে কাজ করেছিস আর এখন এতো অধৈর্য্য হলে হবে কি করে?
আচ্ছা বাবা বল এই কান মুলছি আর ডিস্টার্ব করবো না।
ফেরার সময় সেরকম আর কোন কাজ ছিল না। তাই গাড়িতে গান চালিয়ে গুনগুন করতে করতে নিজেই ড্রাইভ করে আসছিলাম। মোটামুটি সাড়ে পাঁচটা বাজছিল তখন। এমন সময় রাস্তায় একজায়গায় দেখি চার পাঁচজন যুবতী দাঁড়িয়ে রয়েছে। একজন লোককে ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। কৌতুহলবশতঃ গাড়িটাকে একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড় করিয়ে হেঁটে গেলাম মেয়েগুলোর দিকে। মেয়েগুলোকে দেখার একটা ইচ্ছা হচ্ছিল আর সবার হাতে বাটি কেন সেটাও একটু প্রশ্ন হচ্ছিল মনে। যাইহোক গিয়ে দাঁড়ালাম। যে লোকটাকে ঘিরে মেয়েগুলো দাঁড়িয়ে ছিল হঠাৎ বললো দাদা আপনি কি খাবেন দশটাকায় ছটা হবে। আমিও বললাম দিন তো। লোকটা আমার হাতে একটা বাটি ধরিয়ে দিল আর তাতে একের পর এক ফুচকা দিতে লাগলো।
ওঃ বন্ধু কি বলবো রে কি অপূর্ব সে স্বাদ। এই স্বাদ আমার বাড়ির খাবারে কোনদিন পাইনি রে। এখন যেখানেই পাবো সেখানেই খাবো রে।
এ্যাঁ, এতোকিছুর পরে শেষে ফুচকা…………..।।