হাওয়ায় কীসের যেন সুর
বাদল দিনের বাতাসও বোধহয় শিখে নিয়েছে
গোটা কতক রবীন্দ্রসংগীত
এমন দিনে জানলার দিকে চেয়ে যে বসে থাকব
তার কি উপায় আছে
দু’ কান ধরে টান মারছে বস্তু বিশ্ব
খবরের কাগজে চটচট করছে রক্ত
আমায় নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবার জন্য
ধেয়ে আসছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা
তুমি কবিতা লিখছ
তুমি কি পরিব্যাপ্ত সময় সম্পর্কে অন্ধ থাকতে চাও?
‘অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?’
পথে যেতে যেতে থমকে দাঁড়াবার অধিকারও হারানো যায়?
ফসলের খেতে রাহাজানি হলেও কি ঘাসের ডগায়
শিশিরবিন্দু জমে থাকবে না?
শরীরলোভী, তোমার নিজেরও তো শরীর খারাপ হয় কখনও
একটা না একটা সীমানা, তুমি এক একবার এপারে
এক একবার ওপারে
কবিতা থেকে যখন তখন থেমে যায় কলম
যেন একটা মুক্তোর মালা হঠাৎ ছিঁড়ে সবগুলো গড়িয়ে গেল…
ধুলোর মধ্যে আঙুলের দাগ
ওদিকে কোথাও জলের ছলোছল শব্দ
কান্না?
নাকি কারুর আলতাপরা পায়ের ঘুঙুর
অসমাপ্ত কবিতা তাকিয়ে থাকে আমার দিকে।