টান
রতন রাতে ঘুমিয়ে ছিল। কতো রাত সেটা ও জানে না। কিন্তু হঠাৎ ওর মায়ের ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল।
এই বাবা, মেন গেটের বাইরে মনে হচ্ছে যেন কোন আওয়াজ হচ্ছে। একটু দেখবি বাবা।
হ্যাঁ দেখছি মা। বলে রতন বিছানা থেকে উঠে মেন গেটটা খুলে তন্ন তন্ন করে দেখলো কিছুই পেলো না। অবশেষে ও আবার ঘরে এসে ওর বিছানায় বসলো।
কি রে বাবা কিছু দেখতে পেলি
না মা কিছুই নেই বাইরে। তোমার শুনতে ভুল হয়েছে। বয়স হয়েছে তো একটু শুনতে সমস্যা হচ্ছে মনে হয়। কাল অফিস থেকে ফিরে তোমাকে কানের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
ঠিক আছে বাবা। নিয়ে যাস।
রতনের বাবা মারা গেছেন যখন রতনের বয়স মাত্র পাঁচ। ওর বাবার মুখটা মনেই পড়ে না। বাবা মারা যাবার পর থেকে এই মা ওকে দিনরাত এক করে মানুষ করেছে। গত দুবছর হলো রতন এই চাকরিটা পাবার পর ওর মায়ের একটু মানসিক শান্তি হয়েছে।
সারাটা দিন এই মা ওকে আগলে রাখে। অবশ্য রতন কখনও ওর মায়ের অবাধ্য হয় না। ওর মা যে ওর প্রাণ। ওর বাবা মারা যাবার পর ওরা দুজনেই থাকে এই বাড়িটাতে। বাড়িটা ওর বাবা তৈরী করে গেছেন।
যাইহোক রতন বাইরেটা দেখে টেখে এসে এক গ্লাস জল খেয়ে বাথরুম থেকে এসে আবার শুয়ে পড়লো বিছানায়।
বিছানায় শুয়েই ও ধরমর করে উঠে বসলো এটা কেমন হলো, মা এলো কিভাবে? মা তো সেই বছর খানেক আগে ওকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে । তাহলে এটা কি সত্যিই মায়ের নাড়ির টান????