স্বস্তির মুক্তি
মান অভিমানের পালা শেষ। সুচরিতার টালমাটাল অবস্থা।একুল ওকুল এর মাঝামাঝি জীবন।
সুচরিতা ভাবছে —
হে ঈশ্বর পথ দেখাও।
সৌম্যের সাথে ভালোবাসার বিয়ে। সৌম্য নকশালপন্থী, বাড়ির অমতেই সুচরিতা বিয়েটা করে। সুচরিতা ব্যাঙ্কে চাকরিরতা, সৌম্য পিএইচডি করছে। ছেলে সৌগত রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ে। পিএইচডি করবার সময় সৌমের সঙ্গে সিরিন নামে এক চাইনিজ মেয়ের ঘনিষ্ঠতা হয়। সুচরিতা সৌম্যকে বোঝায়, ছেলের কথা বলে। কিন্তু সৌম্যের পরিবর্তন নেই।
একদিন মেয়েটিকে ঘরে আনলে শুরু তুমুল ঝগড়া। সুচরিতা বলে, তোমার কোলকাতায় থাকার জায়গা ছিলোনা। এসেছিলে বিহারের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে। আমি তোমাকে বাপের বাড়ির অমতে বিয়ে করে প্রতিষ্ঠা দিলাম, আজ তোমার এমন আচরণ? ছেলের হোস্টেলে পর্যন্ত গিয়ছো মেয়েটাকে নিয়ে? সম্মানবোধ হারিয়েছো ? ছেলে অস্বস্তিতে পড়েছে, আমায় জানিয়েছে।
সৌম্য বলে, গবেষণার স্বার্থে আমার ওকে পাশে দরকার, তাই দুজনে বিয়ে করেছি।
ক’দিন এখানে থাকবে ও।
সুচরিতা রেগে বলে, এতদূর স্পর্ধা? বাড়ি আমার। এখানে থাকবে মানে? আর ভুল করছি না। তোমাকে আমি ডিভোর্স দেবো। তারপর উকিল ডেকে সৌম্যের থেকে স্বস্তির মুক্তি নিলো সুচরিতা।