তৃতীয় প্রহরে মেঘ গর্জন, ডাকছে খুড়োর নাক,
ফুলে ফুলে ওঠে বিশাল ভুঁড়িটা যেন পেটফোলা ঢাক।
বেজায় ক্রুদ্ধ খুড়ি তাই রাতে শোয়না খুড়োর পাশে,
খুড়োর ভুঁড়িতে গুঁতো মেরে জোরে গালাগালি করে রাশে।
হঠাৎ হঠাৎ নাসিকা শব্দে কাঁপে বাড়ি নিশি যামে,
ঘুমোতে পারেনা খুড়ি কিছুতেই প্রেশারে শরীর ঘামে।
কানে তুলো গুঁজে চেষ্টা চালায় যদি তাঁর ঘুম হয়,
বৃথা প্রচেষ্টা পন্ড নিদ্রা সারারাত জেগে রয়।
অন্য কক্ষে গিয়েও রেহাই বিন্দুমাত্র নাই,
মনে হয় বুঝি ব্যাঘ্র বিষম গর্জায় ক্রোধে তাই।
ঢাকের মতন ভুঁড়ির সঙ্গে নাসিকার ডাক যেন,
সোম আর ফাঁক লয় তালে চলে ধুনের বহর হেন।
পড়শি সকল বিব্রত হয় নাসিকার নাদ শুনে,
খোলেনা জানলা কোনোমতে তাঁরা কাটায় প্রহর গুণে।
পাড়ার কুকুর বাড়ির সামনে যদি কভু বসে এসে,
খুড়োর বিকট নাকের শব্দে ঘাবড়ে পালায় শেষে।
খুড়ো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করে রোজ,
খুড়ি সেই ক্ষণে ঘুমোয় কাতরে রাখেনা খুড়োর খোঁজ।
এইভাবে নিতি দুইজনে মিলে কাটায় জীবন ঘরে,
খুড়ো রাতে আর খুড়ি ভোরবেলা ঘুম দেয় পালা করে।