জোড় বিজোড় খেলিতে বসিয়া যদি খেলার প্রতিপক্ষ না পাওয়া যায়,

ভূতোর চন্দ্রবিন্দু বিভূতি ওরফে ভূতোকে সকলেই গোঁয়ার বলিয়া জানিত। কিন্তু

প্রতিধ্বনি (Pratidhwani) মানুষের চরিত্র যতটুকু দেখিয়াছি, তাহাতে সে শুরু হইতে

করুণাময়ী সাতখানা গ্রামের মধ্যে একমাত্র বিচক্ষণ ডাক্তার বিধুশেখরবাবু সন্ধ্যাবেলা তাঁহার

অষ্টমে মঙ্গল আমি যখন বিহারে বাস করিতাম, তখন আমার এক

দিগদর্শন মাঘের সন্ধ্যায় গ্রামের মাথার উপরকার বায়ুস্তরে সাঁঝাল ধোঁয়ার ধূসর

মায়া কুরঙ্গী (Maya Kurangi) জংলীবাবা যে সত্যকার একজন সাধুলোক, ঠক-দাগাবাজ

তন্দ্রাহরণ পৌন্ড্রবর্ধনের রাজকুমারী তন্দ্রার মন একেবারে খিঁচড়াইয়া গিয়াছে। মধুমাসের সায়াহ্নে

অলৌকিক (Aaloukik) বর্ষা নামিবার সময় উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে, কিন্তু এখনও

সদ্যোজাত শিশুকণ্ঠের কান্না হঠাৎ সদ্যোজাত শিশুকণ্ঠের কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙিয়া

ধীরেন ঘোষের বিবাহ শ্ৰীযুক্ত ধীরেন ঘোষের বয়স তিপ্পান্ন বছর। তিনি

অপদার্থ (Apadartha) ঘটনাটি ঘটিয়াছিল অম্লাধিক চল্লিশ বছর আগে। তাহাও আবার

কেতুর পুচ্ছ ডাক্তার অমিতাভ মিত্রের বয়স আটাশ বৎসর। মাত্র দুই

রূপকথা (Roopkotha) চায়ের দোকানের অভ্যন্তর। ঘরটি বেশ বড়। কয়েকটি মার্বেল্টপ

মরণ-ভোমরা বড়দিনের ছুটি শেষ হইতে আর দেরি নাই। গত কয়

গীতা (Geeta) গোবিন্দবাবু ও মুকুন্দবাবু দুই ভাই একান্নবর্তী ছিলেন। উভয়ে

গ্যাঁড়া আজ রাত্রে আমার কন্যার বিবাহ। সকালবেলা দার্শনিক মনোভাব লইয়া

ভাই ভাই (Bhai Bhai) বাপ মারা যাবার পর দুমাস কাটতে

বিদ্রোহী (Bidrohi) দেবব্রত আমার বন্ধু ছিল না। কিন্তু আজ এই

চক্রায়ুধ ঈশানবমী নামক জনৈক নাগরিক চক্রায়ুধ ঈশানবমী নামক জনৈক নাগরিকের

কুবের ও কন্দর্প নিউ ইয়র্কের বুড়া অ্যান্টনী রকওয়াল ইউরেকা সাবান

স্বাধীনতার রস পনেরোই আগস্ট তোরবেলা একটা চায়ের দোকানে বসিয়া চা

অবিকল (Abikal) নিজের অতীত জীবনের কথা আমার মনে বেশী আসে

ভালবাসা লিমিটেড (Bhalobasa Unlimited) ভাস্করানন্দ, ললিত, বাসুদেব ও সাধুপদ—এই চারজন

কালো মোরগ লজিকের প্রফেসর গোকুলবাবুর শিকারের নেশা ছিল। শীতকালে কলেজের

স্বখাত সলিল যৌবনের দৃঢ় অসন্দিগ্ধ চিত্তবল অন্য বয়সে দেখা যায়

আদায় কাঁচকলায় এতদিন যাহা শহরসুদ্ধ লোকের হাসি-ঠাট্টার বিষয় ছিল, তাহাই

সুন্দরী ঝর্ণা ঝর্ণা নামে একটি মেয়েকে আমি চিনি এবং সে

নখদর্পণ ঘটনাটি ঘটিয়াছিল পঁচিশ বছর আগে, বিহার প্রদেশের একটি ছোট

মরণ দোল পয়লা মাঘ ১৩৪০; সন্ধ্যাকাল। মুঙ্গের শহর বলিয়া যাহা

যুধিষ্ঠিরের স্বর্গ দশ বৎসর আগে আমি যখন কটকে বাস করিতাম

রক্ত-খদ্যোত সন্ধ্যার সময় প্রাত্যহিক অভ্যাসমত গুটিকয়েক সভা ক্লাবঘরের মধ্যে সমবেত

আকাশবাণী (Akashbani) ক্লাবের বারান্দায় আমরা কয়েকজন নীরবে বসিয়া ধূমপান করিতেছিলাম।

মাৎসন্যায় প্রকাণ্ড ঝিলে অনেক মাছ বাস করে। একদল ছোকরা মাছ

তা তা থৈ থৈ ভোম্বলদার সঙ্গে অনেক দিন দেখা হয়

ট্রেনে আধঘণ্টা ট্রেন স্টেশন ছাড়িয়া চলিতে আরম্ভ করিয়াছে, এমন সময়ে

অযাত্রা (Ayatra) রামবাবু আপিস যাইবার জন্য বাড়ি হইতে বহির্গত হইতেছেন।

সবুজ চশমা (Sobuj Chashma) বরদা বলিল, আমিও একদিন তোমাদের মতো

নিষ্পত্তি (Nispatti) শহর হইতে মাইল তিনেক দূরে গঙ্গার তীরে একটি

পরীক্ষা বিনায়ক বসুর ড্রয়িংরুম। রাত্রিকালে বিদ্যুৎবাতির আলোয় ঘরটি অতি সুন্দর

শাপে বর (Shaper Bor) সস্তায় বাড়ি ভাড়া লইয়া বড় প্যাঁচে

আলোর নেশা আমরা আরও আলো, আরও আলো করিয়া গ্যেটের মতো

পিছু ডাক (Pichu dak) বাংলা দেশের কোনও একটি বড় রেলওয়ে

ভক্তিভাজন মাতালকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করিবার প্রথা আমাদের দেশে নাই। বরঞ্চ মাতালের

মন্দ লোক (Mondo Lok) অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার, নীতিবাগীশ বৃদ্ধ ও স্তন্যপায়ী

আরব সাগরের রসিকতা আরব দেশের হাস্যরসের সহিত পরিচয় নাই; কিন্তু

ফকির-বাবা মনে পড়ল পঁয়ত্রিশ বছর আগেকার কথা। আমি তখন মুঙ্গেরে

নারীর মূল্য (Narir Mulya) বৈরাগ্য সাধনের পক্ষে শংকর-ভাষ্যের চেয়ে পদার্থবিজ্ঞান

বিজয়ী (Bijoyi) ননীগোপালের অন্তর্জীবনের গোপন ইতিহাসটি উদঘাটিত করিতে গিয়া কেবলি

সতী (Soti) লোকটি হাত দেখিতে জানে, ঠিকুজি-কোষ্ঠী গণনা করিতে জানে,

স্ত্রী-ভাগ্য (Stree Bhagya) ধীরাজের বিবাহ ও দাম্পত্যজীবন একটা হাসির ব্যাপার

বহুবিঘ্নানি বৌভাতের ভোজ শেষ হইয়া বাড়ির লোকের খাওয়া-দাওয়া চুকিতে রাত্রি

গোপন কথা প্রথম নাতিনী হইয়াছে, তাহাকেই দেখিবার জন্য ট্রেনে চড়িয়া

মধ্য-এশিয়ার দিকসীমাহীন মরুভূমি মধ্য-এশিয়ার দিক্‌সীমাহীন মরুভূমির মাঝখানে বালু ও বাতাসের

এপিঠ ওপিঠ তরুণ আই-সি-এস্ সুখেন্দু গুপ্ত প্রেমে পড়িয়াছে; তাহার ইস্পাতের

মনে মনে (Mone Mone) দ্বিজেনের কথা আজ অফিস থেকে বাড়ি

ভূত-ভবিষ্যৎ (Bhoot-Bhabisyat) গভীর রাত্রে টেবিলের উপর ঝুঁকিয়া বসিয়া উপন্যাসখানা লিখিতেছিলাম।

নিশীথে (Nishithe) রায় বাহাদুর দ্বিজনাথ চৌধুরীর কন্যার বিবাহ আগামী কল্য।

কিসের লজ্জা (Kiser Lojja) পুণায় আসার তিন চার বছর পরে

সন্ধি-বিগ্রহ (Sandhi Bigraha) ঘোড়সোয়ারের মতো মোটা ডালের দুপাশে পা ঝুলাইয়া