সব নদীই সাগরের পথে এগোয়
এটাই পরিনতি –
এখন মোহনায় দাঁড়িয়ে জিগ্যেস করছি –
এই নদী কি নাম তোমার?
কতটা স্বতন্ত্র ও- ও-ই ওর থেকে?
খরস্রোতা না মন্দাক্রান্তা তুমি?
বলতো দেখি –
আরও আছে জিজ্ঞাসা…
চলার পথে কোন কোন পাহাড় মালভূমি ছুঁয়ে এলে?
কত পাড় ভেঙেছো? গড়েছোই বা কত?
উত্তর আছে?
হ্যাঁ আছে.. জানি-প্রশ্ন যখন আছে উত্তর তো থাকবেই…!
আর ঐ তোমার মতন আরও আছে যারা…
তাদের সাথে তোমার স্বতন্ত্রতা কোথায় এই সাগরের বুকে?
নেই তো..!
স্বতন্ত্রতা বয়েই তো ছুটে চলেছো এতকাল!
ভিজিয়েছো নিঝুম অরণ্যের কোল…
বুকে ধরেছো শ্রাবণের চঞ্চল ধারা…
প্লাবনের বিভীষিকা নিয়ে ভাসিয়েছো কত জনপদ…
খরার যন্ত্রণা এঁকেছো নিশ্চুপ পাথরের পাজরে…
তবু দেখো.. আজ এই সাগরের অতলান্তে কোনো হদিস নেই তোমার সেই স্বতন্ত্র শরীরের!
শুধু আছে একটা নদীর উপাখ্যান-
একটা নীলচে সবুজ ইতিহাস-
ঐ যে নদীটা ..একদিন সেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে চলা শুরু করেছিল..
আজ তার পরিনতি এই কূলকিনারাহীন মহামিলনের মুক্তধারায়।