অপ্রেমের নিয়ম বেড়ি আছে পায়ে,
দূরে এলেই ভালোবাসা, কাছে এলেই বিচ্ছেদ!
তবু সামনে যখনই দেখি তোমায় থমকে যায় আমার সমস্ত মন,
চোখের জ্যোতি বাড়ে তোমায় স্পষ্ট দেখতে পায়, কিন্তু তোমার চারপাশ আবছা লাগে কেমন!
আমি বসন্ত পঞ্চমীতে দেখেছি তোমার দুচোখে
স্ট্যারি নাইটের ভ্যান গন।
খুঁজে পায় না কোথাও, তোমার সৌন্দর্যের তল।
আয়নাও দেখাতে ব্যার্থ সে সৌন্দর্য তোমার-
তুমি আছো বহু দূরে- অন্য কোনো পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে
তবু আমি তোমায় দেখছি আমার চোখের এক চুল কাছে,
তোমার দিকে তাকালেই চোখের দৃষ্টি হয়ে আসে উত্তল।
চোখের এতো কাছে এসো না নীলা,
যতটা কাছে এলে তোমায় আর দেখতে পাওয়া যাবে না।
গোলকধাঁধার উত্তরহারা ধাঁধার অজুহাতের হাত ধরে পাশে থাকতে চাই,
হারিয়ে নিজেকে খুঁজেছি বারবার-বহুবার শুধু তোমায়।
তোমায় পুরোপুরি ভাবে পেয়ে গেলে তো পুরোটা পাবো না তোমায়!
দূর থেকে তারা আঙ্গুল বাড়িয়ে গুনি, মনে রাখি।
মরা গাছের মগডালে অপেক্ষা করে একটি চড়ুই পাখি,
তারা ভরা রাতে চাঁদ উঠবে কখন ছাদে?
দূর থেকে তারা আঙ্গুল বাড়িয়ে গুনে, মনে রাখে, মনেই হারায় আবার।
কিন্তু চপল কালো চোখের কাজলের টান টেনে নিয়ে যায় আমায়
জীবন খোঁজাখুঁজির সীমানায়।
ঝরণার মতো নেমে আসে মেঘকেশ মুক্ত বেনীর বাঁধনহীন স্রোতে
যে নদীর অববাহিকায় বসে কবিরা আবাদ করে কবিতা
গড়ে উঠে ‘কাব্যের সভ্যতা’।
কৃপন প্রেমের এই অ-প্রেমের নগরে; – ধ্বংসাবশেষের উপর!
ভাবি বসে, কে সৃজন করল তোমায়
কে বা স্বর্গ থেকে নিয়ে এলো তোমায়
এই ধূলোর পৃথিবীতে?
তোমায় দেখেই দেখতে পাই ঈশ্বর আসলে দেখতে কেমন!
এই জন্যই বোধহয় ৩৩ কোটি দেব-দেবীর মন করে আরাধন পেতে মানবজনম?
অজুহাতে ধরতে চাই তোমার হাত
সম্মোহনে দেয় হাতছানি তোমার সাদা শাড়ি,
তোমার জন্যই তো আমিও নেমে এসেছিলাম পৃথিবী।
যতই দেখি তোমার এই অপরূপ রূপ,
মনে হয় যেন সরস্বতী দাঁড়িয়েছে স্বরূপ।