তোমার মাতৃমঞ্জিলের গোপন অন্ধকারে
উদাসীন ঘুমে আছে হ্লাদিনী যৌবন ।
ফাগুনের থরো থরো ফল্গু বাতাস
বছর বছর তার প্রেমআয়ু দান করে গেছে ।
ঘনিষ্ঠ মেঘেদের শামুক দৃষ্টি এসে
ঋতুভুলো শরীরী শ্বাসের খাঁজ লেহন করেছে ।
নিরুত্তাপ কোমললতার মতো নির্জন নীল মদে
সাবধানী , শ্রীরাধার মুক্ত মুখ লুকিয়ে রেখেছো ।
হ্লাদিনী উৎসের শুধু সত্যবতীর মতো
মধ্যনদী আছে , কোঁচকানো চামড়ার অন্তর্জলী নেই ।
আমি সেই অনাদি আনন্দ শক্তি জাগাতে এসেছি ।
আজীবন অসম্পূর্ণ কবিতার আবছায়া ছোঁয়া দিয়ে নয় ,
যতটুকু প্রেমের প্রতিভা আছে প্রকৃত আমার
সবটুকু পুঁতে যাবো বিরহের মাথুর মাটিতে ।
তারপর খোলস খোলের বোলে
রোমে রোম তেরে কেটে পদাবলী ধুম্ ।
গোপন অন্ধকারে প্রেমের কর্নিয়া কুহু আমিই জ্বালাবো ।
হিমশৈলবাসী হ্লাদিনী হৃদয় ,
শুধু এইটুকু অনুমতি দাও ।