কালজয়ী কবি ছিলে তুমি এই ধরায়,জীবনের গান কত দিয়েছো ছড়ায়।জন্ম

প্রখর নিদাঘ ধরাতলে বহে বহ্নিসম বায়,দিনমণি তেজে ওষ্ঠাগত প্রাণ দিশেহারা

শ্রাবণের পূর্ণিমাতে নিকুঞ্জ পথে কে!নূপুর নিক্কন পায় মুক্ত কালো কেশবিজলির

নিয়ম নীতির ধার ধারে না ওরাদল ভাঙ্গানির দল,নিজের আখের গুছিয়ে

শ্রাবণ দিনে কাজল আকাশমেঘলা অলস দুপুরউদাস মনে বাজলো হঠাৎরিমঝিম ঝিম

বসুন্ধরায় ঝরো ঝরো ধারে এসো শ্রাবণের ধারা,তোমার আশায় উষ্ণ ধরায়

অর্থই সবনাহলে চেনেনাথাকবে দূরে সরেনিজ স্বার্থে আসে কাছেসকলেই দেখে বৈভবআপনজনও

দেহ মন সবেতেই ধর্ষণ যে হয়দেহের ধর্ষণে দোষ প্রমাণ সহজমনের

উজল রোদে ধরা হাসে,শুভ্র মেঘদল নভে ভাসে।এলো শরৎ খুশির ধারা,আনন্দে

সুখি যদি হতে চাওক্ষমাসুন্দর হও তবে,ধনী হতে চাও যদিপরিশ্রমী হতে

পলাশ শিমুল ছায় বাতাস উদাস তায়বনলতার মাদকতা কত,ফাগুন আগুনে রাঙা

মন যমুনায় উঠলো তুফানতোমার প্রেমের মোহে,এসো প্রিয়া মোর রচি এক

স্বপ্ন ডানায় উড়ছি নভ আঙিনায়হৃদি মাঝে ছবি আঁকা কত ভাবনারইচ্ছেগুলো

আজকে বলো হঠাৎ কেন করলে আমায় ফোন?মিসড কলটা দেখেই আমার

কোনো কিছুই থাকবে নারেশুধুই আমার আমার করা,সন্ধ্যা হলেই ক্লান্ত দেহেগাইবো

ঘুচে কালো ফুটে আলো কত ভালো লাগে,নানা সঙে কত ঢঙে

আব্বুলিশ ভাই আব্বুলিশ দিইহাঁপ ধরেছে খেলে,দিপু তুমি দানটা খেলোমনটা দিয়ে

নামলো বৃষ্টি মুষলধারে অপরাহ্ন বেলা,সঙ্গে নিয়ে ঝড়ের দাপট প্রলয় তান্ডব

বলতে পারো শেষ মানেই কি হয়ে যায় সব শেষ!যে ছেলেটির

চৈত্র শেষে নিদাঘ ধরায় বৈশাখী মন হায়,দহন মুক্ত মলয় বায়ের

হাইমন্তিকা আইলো ধাইম্যেআইসবে পরব পিইঠ্যে,লতুন ধাইন্যে লবান উৎসবমহুয়ার রস মিইঠ্যে।

এসেছিল প্রেম চিঠি গোলাপের সাথেবসন্ত বিলাসে মন আলাপনে সুখেএকাকীত্বের জ্বালার

দেখিনি আমি কখনো তাহারেশুনেছি বাঁশির সুর,তার তরে কেন মন ধেয়ে

পূণ্য জাহ্নবীর তীর অর্ক অস্তাচলেবন্দনায় রত তিনি কর্ণ যার নামসূর্য

এসেছে দুর্বাসা কুন্তিভোজ নগরসেবা দাও বলে ডাকেন উচ্চস্বর।মন্ত্রী শশব্যস্ত বার্তা

পূর্ণিমা নিশির চাঁদ পানে চেয়ে দেখি অবাক বিস্ময়েআকাশের বুকে গ্ৰহ

আমি অশ্বত্থামা ,দ্রোণপুত্র কৃপির স্নেহের সন্তান,সপ্ত চিরঞ্জীবির এক চিরঞ্জীবি দৈববলে

বর্তমানে সংকীর্ণতা আর স্বার্থপরতায় সমাজ জীবন গিয়েছে ভরে,বিষন্ন আবহে সভ্যতা

পোড়ো মন্দিরখানির ফাটা ভিটেতে অশ্বত্থ-বটের ডালপালা,মনে হয় যেন তারা দু’হাত

জাগো ওগো নারী হও প্রতিবাদীকর পণ প্রথা নিকেশ,মেয়ের বিয়েতে কত

অম্বুধির বেলাভূমিতে বসে নির্জনে,সমুদ্র নীলাভে দেখছি তোমায় ,সিক্ত উন্মুক্ত কুন্তল

যুগে যুগে নারী লড়ছে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচতে,কালের নিয়মে সভ্যতার লড়াইয়ে

জীবনটা যেন এক যুদ্ধক্ষেত্রজন্ম থেকেই হয় শুরু,জীবন যাত্রার গতি পথেযুদ্ধ

গোধূলির গগনেতে ডালিম রঙ আভা,দিনমনি পাটে যাওয়ার নিচ্ছে প্রস্তুতি,বাতায়নে বসে

তোমার স্মৃতি নিয়েই আমার জীবন বোনা,মন গোপনে চুপকথাদের আনাগোনা।মনের ব্যথা

এসেছে নববর্ষ ,নব আশায় ভুবন,বর্ষবরণে তাই দিকে দিকে হয় কত

প্রিয়তমা সই নবীনা,তোমার অপেক্ষায় দিন যে কাটেনা।চৈত্রের অবসানে শিমুল পলাশ

যাও চলে যাও ১৪২৮আর চেয়ো না ফিরে,আসবে আবার নতুন বছরবসুন্ধরা

বৈশাখ মাস শেষ প্রায় হায় আতপ প্রখর ধরা,কালবোশেখীর দেখা নাহি

সারাদিন রিমঝিম শাওন বাদরপথ ঘাট চারিদিকে ঝাপসা চাদরঅঝোর ঝরনে বাতাস