টলটলে জলরাশি তে বয়ে চলে নাম না জানা এক নদী। সেই নদীর হাসিতে ফোটে কতো শালুক পদ্ম ফুল রাশি রাশি।
সেই নদী কাঁদলে দু কুল ভাসে
বাঁধ ভাঙলে পাড় ভাঙে,
ভাঙে ঘড় বাড়ি গাছ সারি সারি!
নদীর বুকে জেগে থাকে দুঃখের চড়া, তাতে কাশফুল খেলা করে মাথা নেড়ে দোল দেয় সারাবেলা।
নদী সেও যে এক নারী, তার বুকের ভিতর
মস্ত এক জল-বাড়ি।
সমীরণ খোঁজ নেয় দুবেলা।
গোধূলি বেলায় শ্রান্ত নদীর জল হয় চঞ্চল,
দুলে ওঠে ডিঙি নৌকা খানি!
কোন এক অচীন গ্রামে নদী টি বয়ে চলে ঝিরিঝিরি।
তোমার কাছে বসি, এক সাথে পথ হাঁটি,
শুনি তোমার কুলুকুলু শব্দের ধ্বনি!
জ্যোৎস্না রাতে নদীটির বুকে পুর্নিমার চাঁদ বৈদুর্যমণির মতো দীপ্যমান হয়ে থাকে!
ঠিক যেন অনেক কথার মাঝে সেই একটি কথা বলতে না পারার মতোন!
আকাশের বুকেও চাঁদ আর নদীটির বুকেও চাঁদ!
দুই চাঁদের অপরূপ শোভায় ধরত্রী হয়ে ওঠে ঝলমল।
তোমরা কেউ কি জানো সেই বয়ে চলা নদীটির কথা,
যার নাম ছিল চাঁদনী!