Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » আল মাহমুদ || Sankar Brahma

আল মাহমুদ || Sankar Brahma

আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ই জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তাঁর পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর। তাঁর দাদার নাম আব্দুল ওহাব মোল্লা ; যিনি হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।
পিতা মীর আবদুর রব। মাতা রওশন আরা মীর। রব ও রওশন পরস্পর চাচাতো ভাই-বোন ছিলেন। মীর আবদুর রব সংগীত-অনুরাগী ছিলেন। পিতামহ মীর আবদুল ওহাব ছিলেন কবি। জারি গান লিখতেন। আরবি-ফার্সি ভাষায় সুণ্ডিত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষাও জানতেন। আবদুল ওহাব স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা ও কেরানির চাকরি করতেন।
১৯৪২ সালে দাদি বেগম হাসিনা বানু মীরের কাছে বর্ণপাঠ দিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। তাঁর কাছ থেকেই বিশাল বৈচিত্র্যময় আকাশের বিস্তার অবলোকনের প্রথম পাঠ গ্রহণ। ওই সময়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে গ্রহণ করেন ধর্মীয় শিক্ষা। ১৯৪৩-৪৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এম. ই স্কুলে ২য় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। ১৯৪৮ সালে ৬ষ্ঠ জর্জ হাইস্কুলে পড়েছেন ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত। ৮ম শ্রেণিতে পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির জগতপুরে সাধনা হাইস্কুলে। তারপর তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাইস্কুলে। ১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনের সময় তিনি নিয়াজ মোহাম্মদ হাইস্কুলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
১৯৫৪ সালে কবি আল মাহমুদ দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৭-৬২ সালে তিনি ড্রেজার ডিভিশনে গেজ রিডার পদে এবং লাইফবয় সাবানের সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৬৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাক-এ প্রুফ রিডার পদে যোগ দেন। পরে তাঁকে জুনিয়র সাব এডিটর এবং মফস্বল সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে ইত্তেফাক প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ আলী আহসানের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়ে আর্ট প্রেসে প্রকাশনা তদারকির কাজ করেন এবং চট্টগ্রামের প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ‘বইঘর’-এর প্রকাশনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে পুনরায় ইত্তেফাক চালু হলে তিনি সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইত্তেফাক কার্যালয় গুড়িয়ে দিলে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগের জুনিয়র স্টাফ অফিসার পদে যোগ দেন। ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাসদ-এর মুখপত্র এবং সরকারবিরোধী একমাত্র পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ-এর সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালের মার্চে কারাবরণ করেন। প্রায় এক বছর কারাভোগের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে মুক্তি পান। কারামুক্তির কয়েকদিন পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ লাভ করেন। কারাবাসের সময়ে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব পঠন-পাঠনের ফলে তাঁর চিন্তাজগতে পরিবর্তন ঘটে। নাস্তিকতার পথ থেকে আস্তিকতার দিকে ফিরে আসেন। ১৯৯৩ সালের ১০ই জুলাই তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ওই বছরই তিনি দৈনিক সংগ্রাম-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় প্রত্যাবর্তন করেন। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক কর্ণফুলি পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আল মাহমুদের প্রথম প্রকাশিত রচনা ছিল একটি ছোটগল্প। তারপর ভাষা-আন্দোলন কমিটির একটি লিফলেটে ৪ পংক্তির কবিতা ছাপা হয়। ১৯৫৪ সালে তাঁর ১৮ বছর বয়স থেকে ঢাকা ও কলকাতার স্বনামধন্য পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ুখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তাঁর নাম পরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাঁকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
আল মাহমুদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু।
আল মাহমুদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পাকিস্তান-আন্দোলন, ভারত উপমহাদেশের বিভাজন এবং নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের ভাষা-আন্দোলনের প্রবল প্রবাহের সময়ে শৈশব-কৈশোর অতিক্রম করেছেন। নতুন দেশের জন্য অফুরন্ত আশা আর আশাভঙ্গের দারুণ হতাশার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শৈশবে পারিবারিক ইসলামি ঐতিহ্যে লালিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আবহ, বিশেষ করে, লালমোহন পাঠাগার কেন্দ্রিক বামচিন্তাধারা ও বৈপ্লবিক চেতনা এবং জগতপুরের স্কুলজীবনে নির্মল প্রকৃতির প্রভাব তাঁর কল্পনা ভুবনে সৃজনশীলতার বীজ বপন করে। যৌবনের শুরুতে দেখেছেন স্বাধিকারের স্বপ্ন-ঘেরা এটি জাতির প্রস্তুতিকাল।
আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করে ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা শুরু করেন এবং ষাটের দশকেই কবি স্বীকৃতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আগমন করেন। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলা পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে আল মাহমুদ ছিলেন একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩ সাল), কালের কলস (১৯৬৬ সাল), সোনালী কাবিন (১৯৭৩সাল), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন।
আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪ সাল) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
সাহিত্যচর্চার প্রথম দিকে সমাজতন্ত্রের প্রতি ভীষণভাবে আস্থাশীল ছিলেন। ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সে তাঁর কবিতায় বিশ্বস্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে প্রকাশিত সরকারবিরোধী একমাত্র পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ-এর সম্পাদক হন তিনি ।
১৯৭১ সালে তিনি ভারত গমন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠা-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক পদ থেকে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। আল মাহমুদ ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দা নাদিরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তাঁর কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম পরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩ সাল) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর কালের কলস (১৯৬৬ সাল), সোনালি কাবিন (১৯৭৩ সাল), মায়াবী পর্দা দুলে উঠো (১৯৭৬ সাল) কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার নগরকেন্দ্রিক প্রেক্ষাপটে ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহকে তার কবিতায় অবলম্বন করেন। নারী ও প্রেমের বিষয়টি তার কবিতায় ব্যাপকভাবে এসেছে। উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হিসেবে নারীর যৌনতা, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগের লালসাকে তিনি শিল্পের অংশ হিসেবেই দেখিয়েছেন। আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ তার অনন্য কীর্তি।
১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম ‘সোনালি কাবিন’। ১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ তার কবিতায় বিশ্বস্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে; এর জন্য তিনি প্রগতিশীলদের সমালোচনার মুখোমুখি হন। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘কবি ও কোলাহল’। কোনও কোনও তাত্ত্বিকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিশ্বাসগ্রস্ততার কারণে তার বেশকিছু কবিতা লোকায়তিক সাহিত্যদর্শন দৃষ্টান্তবাদ দ্বারা অগ্রহণযোগ্য। তবে একথাও সত্য, কবিতায় দর্শন থাকে, কিন্তু দর্শন দ্বারা কবিতা নিয়ন্ত্রিত নয়, কবিতা আবেগের কারবার।
তিনি নিউমোনিয়া সহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ঢাকায় ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ৮২ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

(তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ)

লোক লোকান্তর (১৯৬৩ সাল),
কালের কলস (১৯৬৬ সাল),
সোনালী কাবিন (১৯৭৩ সাল),
মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬ সাল),
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না (১৯৮০ সাল),
বখতিয়ারের ঘোড়া (১৯৮৫ সাল),
আরব্য রজনীর রাজহাঁস (১৯৮৭ সাল),
প্রহরান্তে পাশফেরা (১৯৮৮ সাল),
একচক্ষু হরিণ (১৯৮৯ সাল),
মিথ্যাবাদী রাখাল, (১৯৯৩ সাল),
আমি দূরগামী (১৯৯৪ সাল),
হৃদয়পুর (১৯৯৫ সাল),
দোয়েল ও দয়িতা, (১৯৯৬ সাল),
দ্বিতীয় ভাঙন (২০০০ সাল),
নদীর ভিতরে নদী (২০০১ সাল),
উড়ালকাব্য (২০০৩ সাল),
না কোনো শূন্যতা মানি না (২০০৪ সাল),
বিরামপুরের যাত্রী (২০০৫ সাল),
তোমার জন্য দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী (২০০৫ সাল),
তুমিই তৃষ্ণা তুমিই পিপাসার জল (২০০৭ সাল),
সেলাই করা মুখ (২০০৮ সাল),
পিপাসার বালুচরে (২০০৮ সাল),
প্রেমপত্র পল্লবে (২০০৯ সাল),
তোমার রক্তে তোমার গন্ধে (২০১১ সাল),
পাখির কথায় পাখা মেললাম (২০১২ সাল),
তোমার গন্ধে ফুল ফুটেছে (২০১৫ সাল)
ইতিহাস দেখো বাঁক ঘুরে গেছে ফের ইতিহাসে (২০২০ সাল);
মহাকাব্য’- এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না (২০২০ সাল);
ত্রিশেরা
প্রেম ও ভালোবাসার কবিতা
প্রেমের কবিতা সমগ্র
প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনা কবিতা
কবিতাসমগ্র
কবিতাসমগ্র-২
Selected Poems – Al Mahmud (১৯৮১ সাল)

(শিশু-কিশোর সাহিত্য [ছড়া/কবিতা])

পাখির কাছে ফুলের কাছে (১৯৮০ সাল),
একটি পাখি লেজ ঝোলা (২০০০ সাল), মোল্লাবাড়ীর ছড়া (২০০৫ সাল),
ফড়িং ধরার গল্প (২০১১ সাল),
নেবু ফুলের গন্ধে (২০২০ সাল),
আমার নামে ডাকছে পাখি (২০২০ সাল);

(ছোটগল্প)

পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫ সাল),
সৌরভের কাছে পরাজিত (১৯৮২ সাল), গন্ধবণিক (১৯৮৮ সাল),
ময়ূরীর মুখ (১৯৯৪ সাল),
নদীর সতীন (২০০৪ সাল),
ছোট-বড় (২০০৫ সাল),
চারপাতার প্রেম (২০০৯ সাল),
সপ্তর্ষী (২০১৪ সাল),
জলবেশ্যা ও তাহারা (২০১৫ সাল),
প্রিয় পঞ্চমী (২০১৬ সাল)
আল মাহমুদের গল্প
গল্পসমগ্র
প্রেমের গল্প

(উপন্যাস)

ডাহুক (১৯৯২ সাল),
কাবিলের বোন (১৯৯৩ সাল),
উপমহাদেশ (১৯৯৩ সাল),
কবি ও কোলাহল (১৯৯৩ সাল),
পুরুষ সুন্দর (১৯৯৪ সাল),
নিশিন্দা নারী (১৯৯৫ সাল),
আগুনের মেয়ে (১৯৯৫ সাল),
যে পারো ভুলিয়ে দাও (১৯৯৫ সাল),
পুত্র (২০০০ সাল),
চেহারার চতুরঙ্গ (২০০১ সাল),
কলঙ্কিনী জ্যোতির্বলয় (২০০৩ সাল),
ধীরে খাও অজগরী (২০০৪ সাল),
যে যুদ্ধে কেউ জেতেনি (২০০৬ সাল),
তুহিন তামান্না উপাখ্যান (২০০৭ সাল),
তুষের আগুন (২০০৮ সাল),
জীবন যখন বাঁক ঘোরে (২০১৮ সাল),
সহোদরা (২০২০ সাল),
রাগিনী (২০২০ সাল)
কাবিলের বোন (মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস)
উপন্যাস সমগ্র-১
উপন্যাস সমগ্র-২
উপন্যাস সমগ্র-৩

(কিশোর গল্প-উপন্যাস)

মরু মুষিকের উপত্যকা (১৯৯৫ সাল);
আরব্য রজনীর রাজহাঁস
বখতিয়ারের ঘোড়া
অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না
একটি পাখি লেজ ঝোলা
পাখির কাছে ফুলের কাছে
কিশোর সমগ্র
ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড় (রূপকথা)

(আত্মজীবনী)

যেভাবে বেড়ে উঠি (১৯৯৭ সাল),
বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ (২০০৭ সাল)
কবির আত্নবিশ্বাস

(প্রবন্ধ)

দিনযাপন (১৯৯০ সাল),
কবির আত্মবিশ্বাস (১৯৯১ সাল),
নারী নিগ্রহ (১৯৯৭ সাল),
কবিতার জন্য বহুদূর (১৯৯৭ সাল),
কবিতার জন্য সাত সমুদ্র (১৯৯৯ সাল),
কবির সৃজন বেদনা (২০০৫ সাল),
সময়ের সাক্ষী (২০০৫ সাল),
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) (১৯৮৯ সাল),
দশ দিগন্তে উড়াল (২০০৯ সাল),
কবির কররেখা (২০০৯ সাল),
বারো মাস তেরো পার্বন (২০০৮ সাল),
কবির মুখ (২০১৫ সাল)

(সম্পাদনা)

কাফেলা (১৯৫৫-৫৬ সাল),
দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-৭৫ সাল),
আহত কোকিল (১৯৭৭ সাল),
শিল্পকলা (১৯৮০ সাল),
আফগানিস্তান আমার ভালোবাসা (১৯৮৩ সাল),
দৈনিক কর্ণফুলী (১৯৯৫-২০০৪ সাল),
সঙ্গীত সিরিজ-১ (গুল মোহাম্মদ খানা, কানাইলাল শীল, ফুলঝুরি খান),
লোক লোকান্তর (১৯৬৩ সাল)

আল মাহমুদ ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় কবিতা সম্মেলনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ও সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় নাগরিক ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রায় ৭ দশক ধরে তিনি সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি বিষয়ক সভা-সমিতি-সেমিনারে নিয়মিতভাবে যোগদান করে বক্তৃতা ও মতামত প্রকাশ করে জাতীয় ভাবধারা ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন।
১৯৭৮ সালে কবি আল মাহমুদ তৃতীয় বিশ্বগ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। আশির দশকে ভারতের ভূপালে এশীয় কবিতা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি একাধিকবার ভারতের দিল্লি এবং কলকাতার আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ওল্ডহ্যাম সিটিতে একটি সাহিত্যানুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৫ সালে PEN International-এর বাংলাদেশের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচনা ইংরেজি, ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

(তাঁর পুরস্কার ও সম্মাননা)

১). ‘বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার (১৯৬৮ সাল),
২). ‘জয়বাংলা সাহিত্য’ পুরস্কার (১৯৭২ সাল), ৩). ‘হুমায়ুন কবির স্মৃতি’ পুরস্কার (১৯৭৪ সাল), ৪). ‘জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি’ পুরস্কার (১৯৭৪ সাল),
৫). ‘সুফী মোতাহার হোসেন সাহিত্য’ স্বর্ণপদক (১৯৭৬ সাল),
৬) ‘বাংলাদেশ লেখক সংঘ’ পুরস্কার (১৯৮০ সাল),
৭). ‘বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ’ পুরস্কার (১৯৮১ সাল),
৮). ‘শিশু একাডেমি’ (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার (১৯৮১ সাল),
৯). ‘আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সাহিত্য’ পুরস্কার (১৯৮৩ সাল),
১০). ‘অলক্ত সাহিত্য’ পুরস্কার (১৯৮৩ সাল),
১১). ‘কাফেলা সাহিত্য’ পুরস্কার (কলকাতা, ১৯৮৪),
১২). ‘হুমায়ুন কাদির স্মৃতি’ পুরস্কার (১৯৮৪ সাল),
১৩). ‘একুশে পদক’ (১৯৮৬ সাল),
১৪). ‘ফিলিপ্স সাহিত্য’ পুরস্কার (১৯৮৭ সাল), ১৫). ‘নাসিরউদ্দিন’ স্বর্ণপদক (১৯৯০ সাল),
১৬). ‘ফররুখ স্মৃতি’ পুরস্কার (১৯৯৫ সাল),
১৭). ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ (১৯৯৭ সাল),
১৮). BJWA of America (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৮ সাল),
১৯). ‘কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য’ পুরস্কার (২০০২ সাল),
২০). ‘অগ্রদূত গুণীজন’ পুরস্কার (২০০২ সাল), ২১). ‘নতুনগতি সাহিত্য’ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৩ সাল),
২২). ‘জাতীয় মঙ্গলপদক’ (২০০৩ সাল),
২৩). ‘ঢাকা পোস্ট’ স্বর্ণপদক (২০০৪ সাল),
২৪)
‘শিশু একাডেমি’ পুরস্কার (২০০৫ সাল)
প্রভৃতি।

তাঁর সমালোচনা অনেকেই সমালোচনা করেন যে, আল মাহমুদ ১৯৯০’র দশকে ইসলামী ধর্মীয় বোধের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তার কবিতায় ইসলামী চেতনার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদিও তিনি বিভিন্ন সময় তা অস্বীকার করেছেন।

(আল মাহমুদকে নিয়ে গবেষণা)

কবি খোরশেদ মুকুল আল মাহমুদকে নিয়ে লিখেছেন গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘দ্রোহের কবি আল মাহমুদ’।

কমরুদ্দিন আহমেদ প্রকাশ করেছেন গবেষণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থ ‘আল মাহমুদ : কবি ও কথাশিল্পী’।

ড. ফজলুল হক তুহিন; আল মাহমুদের কবিতা : বিষয় ও শিল্পরূপ, মাওলা বাদ্রার্স , ঢাকা।

—————————————————————-
[তথ্য সংগৃহীত ও সম্পাদিত। সূত্র – উইকিপিডিয়া]

সূত্র নির্দেশিকা –

আল মাহমুদ, যেভাবে বেড়ে উঠি, ঢাকা: অনন্যা, দ্বিতীয় সংস্করণ ২০১১ সাল; আল মাহমুদ, বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ, ঢাকা: একুশে বাংলা প্রকাশন, ২০০৭ সাল; ওমর বিশ্বাসস (সম্পা.)।

চাঁড়–লিয়া, ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা (আল মাহমুদ সংখ্যা), জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ঢাকা, ২০০১; খন্দকার আবদুল মোমেন (সম্পা.), প্রেক্ষণ, ৬ষ্ঠ মুর্দ্রণ (আল মাহমুদ সংখ্যা), জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর, ঢাকা, ২০০৭ সাল।

কবি আল মাহমুদ আইসিইউতে। The Daily Star। ২০১৯-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১১.

Correspondent, Staff। “Poet Al Mahmud passes away”। Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯.

“ক‌বি আল মাহমু‌দ আইসিইউতে”। bangla.bdnews24.com। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

পয়েমহান্টার.কম। “আল মাহমুদ (১১ই জুলাই, ১৯৩৬ সাল – ব্রাহ্মণবাড়ীয়া/বাংলাদেশ)”।

পয়েমহান্টার.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৭ই জানুয়ারি ২০১৩ সাল।

Correspondent, Staff (২০১১-০৭-১৩)। “Al Mahmud turns 75″। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯.

“কবি আল মাহমুদ”। দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৪.

“Poet Al Mahmud turns 73″। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৭-১১. সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৫.

“কাব্য”। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

“সোনালি কাবিন”। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

Muhammad Musa (1998). Brahmanbariar Itibrittyo. Shetu Prokashoni, Brahmanbaria.

“সোনালী কাবিনের কবি আল মাহমুদ”। দৈনিক সংগ্রাম। ২০১৮-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৪.

দীপংকর দীপক (নভেম্বর ২৭, ২০১৭)। “আল মাহমুদের কবিতায় নারী ও প্রেম”। একুশে টিভি। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০১৮ সাল।

দ”কবি আল মাহমুদ আইসিইউতে”। ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

“১৮ বছরেই প্রকাশিত হয় কবি আল মাহমুদের কবিতা”। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

“কবি আল মাহমুদ আর নেই”। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯”হাসপাতালে কবি আল মাহমুদ”। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

প্রতিবেদক, নিজস্ব; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। “ক‌বি আল মাহমু‌দের বিদায়”।

bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৫।

“কবি আল মাহমুদ আর নেই”। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৫।
“আল মাহমুদের দেখা মিললো তবে…”।

মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯।
“দাড়ি রেখেছি বলে মৌলবাদী হয়ে গেছি”। ২১শে এপ্রিল ২০১৯ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

খোরশেদ মুকুল। “দ্রোহের কবি আল মাহমুদ”। rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯.

Das, Prianka (২০২০-০১-৩১)। “আল মাহমুদ : কবি ও কথাশিল্পী মুহাম্মদ তাফহীমুল ইসলাম”। দৈনিক পূর্বদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯.

“আল মাহমুদের কবিতা বিষয় ও শিল্পরূপ”। Mowla Brothers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৮.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *