স্থির কোন কেন্দ্র নেই, ক্ষণিক সুখের মোহে দুলি
শিশুকাল থেকে যদি
স্থির কোন কেন্দ্রে ভর করে দুলে যাওয়া যেতো,
হৃদয় তাহলে, হয়তো কিছুটা স্বস্থি সুখ পেতো।
বিপন্ন বাতাস এসে
মাঝে মাঝে এলোমেলো করে দেয় সব,
বড় অসহায় লাগে, নিজেকে তখন – মনে হয়,
সমস্ত প্রচেষ্টার একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে,
ধারে কাছে শত্রু কোন রক্তাপ্লুত হাতে
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে শিয়রের কাছে।
এই সব নিগূঢ় তত্ত্ব ভেবে ভেবে শুধু
হৃদয়ের অভীষ্ট কুসুম,
ফুটে উঠে ঝরে যায়
বারবার,
অনায়াসে নিভে যায় জীবনের আলো
আর সেই অস্থিরতা গড়ে তোলে
সন্তপ্ত সময়ের, স্রোতময় দুর্বার ঘূর্ণন।