জমিন পাহাড় ঘুরে ঘুরে আমি কত
শুনেছি যে আর্তনাদ,
সর্বহারা নিঃস্ব যারা শোষিত
হয়ে হয় বরবাদ।
দেখেছি তাদের ক্ষুধার কারণে
খালি পেটে থাকা রাত,
জীবন বাঁচাতে ভাগাভাগি করে খায়
এক মুঠো নুন ভাত।
ঘিঞ্জি এলাকায় দিনরাত্রি যাপন
ব্যধিগ্ৰস্ত শীর্ণ দেহ,
তিলে তিলে মরে রাস্তার ‘পরে
সাহায্য না করে কেহ।
ছিন্ন বসনেতে কোনো মতে করে
লজ্জা নিবারণ,
হাড় কাঁপানো শীতে থাকে মাটি শুয়ে
পায় না গরম আবরণ।
রাতের আঁধারে ক্ষীণ তেল দীপে
কাটায় স্যাঁতস্যাতে ভাঙ্গা ঘরে
গ্ৰীষ্ম- বর্ষায় ঘুমের মাঝেতে
বিষধর সাপের কামড়ের মরে।
সংগ্ৰাম করে চলে পরিবার জন্যে
খাটে স্বামী -স্ত্রী সারা বেলা,
একা থাকে পড়ে শিশু মাটি ঘরে
সয় কত অবহেলা।
শিক্ষার আলো পাওয়া দুরস্ত
জোটেনা দুবেলা আহার,
সমাজের এরাই গঠনের ভিত্
তবু নেই কদর কাহার।
কৃষক শ্রমিক মজদুর সব
শোষিত যে সমাজ জুরে,
অথচ শাষক গরিব দরদি ভাব দেখিয়ে চ’লে
বঞ্চিত করে সদাই তাদের কৌশলে লুকোচুরে।
কবে যে সমাজে আসবে সাম্য
দূর হবে দুর্নীতি যত,
জাগবে ধরায় আনন্দ খুশি
থাকবে না বিভেদ বেশি অত।