শোন্ রে মানুষ, বন-মানুষের বুদ্ধিটা নয় সোজা,
বানিয়েছি এই আজব বিমান সাত্ টি বেলুন গোঁজা |
ফুর্-ফুর্-ফুর্ হাল্ কা হাওয়ায় উড়ল বিমানখানা,
আকাশ-পথে চলছি উড়ে, সঙ্গী শুয়োর-ছানা |
শক্ত ঝুড়ির ভিতর মোরা বস্ ছি এঁটে-সেঁটে,
বুঝ্ লে তো ভাই বন-মানুষের বুদ্ধি কত পেটে !
আকাশ-পথে হঠাৎ যদি বিপদ্ ঘটে কোনো,
তারও আছে প্রতিবিধান, বল্ ছি সেটা শোনো |
শূন্যপথে ঘট্ লে বিপদ্ একান্ত বিদ্ ঘুটে,
‘সরাৎ’ ক’রে আসব নেমে ছাতার ‘প্যারাসুটে’ |
কল্ কব্জার বালাই যে নাই, ঘোরপ্যাঁচ্ নাই কিছু,
বেলুনগুলোর সুতো টেনে চালাই আগুপিছু |
বাঃ- বাঃ- বাঃ কেমন মজা, শূন্যে উঠি বেগে,
উড়ছে রঙীন বেলুনগুলো আল্ তো বাতাস লেগে |
আকাশ-পথে শোঁ- শোঁ- শোঁ চলবে উড়ে উড়ে,—-
ইচ্ছামত বিশ্বখানা দেখবো ঘুরে ঘুরে |
এই মরেছে,—বিমানটা যে হঠাৎ গেল ফেঁসে,—-
সঙ্গী আমার ঝুড়ির ফুটোয় বেরিয়ে এলো শেষে ?
শূন্যপথে ডিগ্ বাজি খায়, শিউরে ওঠে’ গা’টি,—-
লক্ষ্মীছাড়া শুয়োর-ছানা সব করেছে মাটি |