মশা
আরে আরে কি করছিস তুই? মশাগুলোকে না মেরে উড়িয়ে দিলি। ওরা এবার আমার কানের সামনে এসে ভ্যান ভ্যান করবে। কি রে তুই? মশা মারতেও এতো আলসেমি। সারাদিন তো শুয়ে বসেই থাকিস। এই কাজটুকুও করতে পারলি না। সত্যি তোকে নিয়ে আর পারা যায় না।
কথাগুলো বলে একটু থামলো রেখা। রেখা হলো প্রবীণের বড় বোন। দুই ভাই বোন আর বাবা মা এই নিয়ে ওদের সংসার । বাবা মোটামুটি একটা কাজ করেন। তাই দিয়ে কোনমতে সংসার চলে। প্রবীণ এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছে। আর রেখা অঙ্কে অনার্স নিয়ে থার্ড ইয়ারে পড়ছে।
তবে রেখা নিজের পড়াশুনার খরচ টিউশন করেই মেটায়। ঐদিকে প্রবীণ এখনো টিউশন না পড়ালেও অদূর ভবিষ্যতে হয়তো পড়াবে।
দিদির এই কথা শুনে প্রবীণ একটুও না ভেবে চটজলদি উত্তর দিলো আচ্ছা বলতো এটা বাংলা কোন মাস।
কেন অগ্রহায়ণ।
এই মাসে কি হয় জানিস কি?
কেন কি হবে আবার?
অগ্রহায়ণ হলো বিয়ের মাস। দেখছিস তো চারিদিকে কেমন বিয়ের মরশুম চলছে। সবাই যে যাকে পারছে বিয়ে করে নিচ্ছে।
সে বুঝলাম কিন্তু এর সাথে মশাগুলো তাড়িয়ে দেবার যোগ কোথায় ?
আরে বুঝলি না তো। এই জন্য তুই একটা হাঁদারাম। মশাদুটো কোথায় বসেছিল বল তো?
কেন তোর পায়ে।
পায়ে কেন বসেছিল জানিস।
কেন তুই বল?
এটা অগ্রহায়ণ মাস। ওরা বিয়ে করেছে সদ্য। তাই আমার পায়ে বসে আশীর্বাদ ভিক্ষা করছিল। এখন সদ্য বিবাহিত দম্পতিকে কিভাবে মারব বলতে পারিস।
আর এদিকে প্রবীণের উত্তর শুনে রেখা………….।।