শরৎ হাসে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মাঝে
অর্কজ্যোতির কিরণমালায় টুকরো মেঘে ভাসে,
পুজো গন্ধ চারিপাশে রোদ্দুর বৃষ্টি খেলা,
পাখিরা আজ মাতে খেলায় শ্বেত ঝালর কাশে।
বনের পথে অসংখ্য কাশ সাদা শনের বুড়ি
সবুজ ডগায় ঝালর দোলায় মনোরমের বেশে,
নকশাআঁকে গাছের তলায় হলুদ বোঁটায় শিউলি
বিছানা তার মাটির পরে জামদানি সাজ শেষে।
দিঘির জলে পদ্ম পাতার সবুজ রঙের বাহার
মাঝে মাঝে সাদা নীলের পদ্ম উঁকি মারে,
শালুক শাপলা এরই সাথে মশকরা যে করে,
প্রকৃতি মা সেজেছে আজ পত্র পুষ্প হারে।
মহালয়ার ভোর বেলাতে আগমনির গানে
অসুর বধের স্তোত্র পাঠে কাহিনী যে কবে,
মহিষাসুর মর্দিনী পাঠ সবার ঘরে ঘরে,
দুর্গা মাতার চরণ ধ্বনি বাজবে আজি ভবে।
শরৎ আকাশ জানায় কেবল দুর্গা মায়ের কথা
নরম রোদ্দুর টুকরো মেঘে মধুর করে হাসে,
বাপের বাড়ি আশ্বিন মাসে দোলায় চেপে আসা,
মহামারী আসবে সাথে আছে সবাই ত্রাসে।
এমনিতে মা মন ভালো নেই ঘরের মেয়ের কান্না
অসহায় সে ধর্ষণ খুনের শিকার হলো কাজে,
কি অপরাধ বিচার চেয়ে ঢিমে তালে চলা,
কবে আসবে সত্য বিচার সবার আওয়াজ রাজে।
তাইতো শরৎ মেঘলা শাড়ি অবশেষে পরে
অকাল বর্ষণ খানিক কেঁদে ধরল পৃথ্বী বুকে,
এবার পুজোয় শরৎ আকাশ মলিন বেশে রবে
ভক্তের সাথে দেবী দুর্গা ব্যথায় রবে দুখে।