বোকা
বিল্টু স্কুলে পড়ছে। ও প্রতিদিনই স্কুলে যায়। স্কুল কামাই ও একদম করেই না বলতে গেলে। স্কুলে ও রীতিমতো সবার কাছে ত্রাস। ওর মতো বিচ্ছু ছেলে স্কুলে আর দ্বিতীয়টি নেই। মাষ্টারমশাই থেকে অন্যান্য ছাত্ররা কেউ ওর বদমাইশির থেকে বাঁচে না। স্কুলে তাই ওকে কেউ ঘাঁটাতে চায় না।
অথচ এই বিল্টু বাড়িতে কিন্তু একেবারে উল্টো। বাড়িতে ওর থেকে ভালো ছেলে আর হয় না। বাড়িতে থাকলে ও ওর পড়ার টেবিলেই থাকে। পড়াশোনায় খুব ভালো না হলেও চলনসই। ক্লাসে প্রতিবছরই পাশ করে পরের ক্লাসে ওঠে। যে কারনে মাষ্টারমশাইরাও খুব একটা কিছু বলেন না।
ওনারা ভাবেন এটাই বিল্টুর স্বাভাবিক অবস্থা। কোনদিন যদি বিল্টু একটু চুপচাপ থাকে তাহলেই মাষ্টারমশাইরা চিন্তায় পড়ে যান। কি হলো ওর কি শরীর খারাপ করলো নাকি।
এভাবে পাশ করতে করতে বিল্টু ক্লাস এইটে উঠেছে। ওদের বাংলা পড়ান বারীনবাবু। বারীনবাবু একদিন ক্লাসে এসে বললেন তোমরা যারা যারা নিজেদের বোকা ভাবো তারা উঠে দাঁড়াও।
কিন্তু কেউ উঠে দাঁড়ালো না। মাষ্টারমশাই সবার দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কেউ আর উঠে দাঁড়াচ্ছে না। এই দেখে কিছুক্ষণ পর মুখে দুষ্টুমির হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়ালো স্বয়ং বিল্টু।
মাষ্টারমশাই ও তাহলে তুই নিজেকে এই ক্লাসের সবচাইতে বোকা ভাবিস।
বিল্টু না মাষ্টারমশাই আসলে আপনি একাই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ব্যাপারটা খারাপ লাগছিল দেখতে। তাই আমি আপনাকে সঙ্গ দিতে উঠে দাঁড়ালাম।
এখন মাষ্টারমশাই………………..।।