বেলতলা
হরি একেবারেই টেকো। অথচ ওর বয়স বেশি নয়। এই মেরেকেটে বছর চল্লিশ হবে হয়তো। তবে ও পুরোপুরি টেকো নয়। কানের আশেপাশে দু চার গাছা ছিল। কিন্তু ও সেলুনে গিয়ে একেবারে ক্লিন মাথা করে এসেছে। এই টাক মাথার জন্য ভালো চাকরি করা সত্ত্বেও মেয়েরা ওকে পছন্দ করতো না। অবশেষে অনেক কষ্টে দূরের গ্রামের সীতার সাথে বছর পাঁচেক আগে বিয়েটা হয়েছে। সীতা যে ওকে পছন্দ করেছে তার জন্য ও সীতার কাছে কৃতজ্ঞ।
সীতারও বিয়েটা হচ্ছিল না দরিদ্র পরিবার বলে। হরি যখন পছন্দ করেছে এবং এক কাপড়েই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে তাই ওর বাবা আর দেরী করেনি চার হাত এক করে দিতে।
বিয়ের পর সীতা মন দিয়ে সংসার করছে। বেশ স্বচ্ছল পরিবার হরিদের। কোন কিছুর অভাব নেই। নিজেদের দোতলা বাড়ি। নীচ তলায় হরির বাবা মা থাকেন। আর দোতলায় ওরা দুজন। হরিও সীতাকে খুব ভালোবাসে।
সেদিন হরি সীতাকে নিয়ে কিছু কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিল। বেশ অনেক সময় ধরে অনেক কিছু কেনাকাটা করে ফেরার সময় হরির একবন্ধুর সাথে দেখা হলো। অনেকদিন পর দেখা। অনেক কথাবার্তা হলো। পরিচয়পর্বও হলো সীতার সাথে।
হরি কানাঘুষো শুনেছিল বন্ধুর ডিভোর্স হয়ে যাবার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তাই জিজ্ঞেস করলো কিরে তোর নতুন বৌ কেমন হয়েছে?
শুনে বন্ধু একটুও না চমকে বললো নতুন বৌ! মানে! ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায় বন্ধু।
তাহলে আমি কি করবো আমার বাড়িই তো বেলতলাতে।
শুনে সীতা ………………।।