বিচার
আদালতে বিচার চলছে। বাদী বিবাদী দুই পক্ষই উপস্থিত । যার নামে অভিযোগ তার বয়স মোটামুটি সত্তরোর্দ্ধ। বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি একজন মহিলাকে টিজিং করেছেন। বিচারক এবং বাদী বিবাদী পক্ষের উকিলরাও চলে এসেছেন।
বিচারক এলেন সবাই উঠে দাঁড়ালো। বিচারক নিজের চেয়ারে বসলেন। সংক্ষেপে কেসটা নিয়ে শুনলেন। তারপর উনি নড়েচড়ে বসলেন। বাদীর দিকে তাকালেন। বিচারক ভেবেছিলেন আজকেই এই কেসের রায় দেবেন।
উকিলদের নির্দেশ দিলেন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে । বিবাদী পক্ষের উকিল উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ধর্মাবতার আমার আর কিছু বলবার নেই। যা বলবার এই আদালতে আমি পেশ করেছি এবং বলেছি। বাদী পক্ষের উকিলও একই কথা বললেন। যা বলবার বা পেশ করবার তা এই আদালতে বলা বা পেশ করা হয়ে গেছে।
ধর্মাবতার আপনার যদি কিছু জিজ্ঞাসা করবার থাকে তাহলে করতে পারেন।
বিচারক আপনি এই বয়সেও মেয়েদের উত্যক্ত করেন। এই কাজটা যদি কুড়ি বা একুশ বছরে করতেন তাও একটা কথা ছিল। এখন এই বয়সে এসে। এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। এ তো ক্ষমার অযোগ্য।
বাদী ধর্মাবতার আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হোক। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই। আমার কথাটাও একটু শুনুন।
বিচারক আবার কি শুনবো। আর শুনবার কিছু নেই।ঘেন্না হচ্ছে এই বয়সেও আপনি এইসব কাজ করছেন। ছিঃ।
বাদী ধর্মাবতার যে কেসটার কথা আপনি শুনছেন সেটা আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের। তখন আমার বয়স ঐ পঁচিশের মতো। তারিখের পর তারিখ পেতে পেতে আজ এখানে এসেছে। আর যাকে নিয়ে এই কেস ঐ দেখুন তিনজন নাতি নাতনী নিয়ে আদালত কক্ষে বসে আছেন। এরপর আপনি বলুন। আমি আর কিছু বলবো না ধর্মাবতার।
শুনে বিচারক………………..।।