অম্বুধির বেলাভূমিতে বসে নির্জনে,
সমুদ্র নীলাভে দেখছি তোমায় ,
সিক্ত উন্মুক্ত কুন্তল তব দুলছে সলিল ধারায়।
কখনো বা সর্পিল হয়ে আন্দোলিত,
জলোচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বলিত ঊর্মিমালায়।
শ্বেত শুভ্র ফেনার রাশি উদ্বেলিত সলিলে তালে ছন্দে সুদূরের পানে ধায়,
সূর্যালোকে থেকে থেকে জোনাকির ন্যায় দ্যুতি পড়ছে ছড়ায়।
কণ্ঠে সুসজ্জিত যেন মনি রত্ন হার,
তরঙ্গ বিভঙ্গে তুলছে ঝংকার।
মনে হচ্ছে যেন কোনো জলপরী তরঙ্গের তালে তালে, নৃত্য করছে নুপুর নিক্কন পায়ে তার।
চিকচিক করে সৈকত হেম চম্পা সম,
দ্যুতিময় মায়াবী আবহে অনুপম।
কি অপরূপ মোহময়ী মুগ্ধকর রূপ,
অপলক নয়নে চেয়ে দেখি সেই রমনীয় তব স্বরূপ।
ছুটে যায় নিকটে, জিজ্ঞাসা করি কে তুমি সাগর বালিকা! তুমিই কি সিন্ধু কন্যা!
মোহাবিষ্ট করেছো মোরে, বিহার করছো মোর হৃদয়ের গহীন পাথারে,হে অনন্যা!
হরষিত একরাশ জলজ সমীরণ বয়ে নিয়ে এলো উত্তর, আমি প্রেম চয়নিকা।
তোমার কোমল হৃদয়ের পেতেছি আসন; লিখবো প্রেমের কবিতা।