খুব ছোটবেলা থেকে আপনার সাথে পরিচিতি আমার,
কাজ শেষে দুপুরবেলায় মা আপনার গীতবিতান নিয়ে বসতেন। কত রকম গান যে গাইতেন!
তখন থেকে হৃদি আসনে বসিয়েছি আপনাকে।
শৈশবে নৃত্যে গানের তালে তালে করেছি আপনাকে স্মরণ।
পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে খোয়াইয়ের তটে কত পাঠ করেছি আপনার কবিতা সঞ্চয়িতা হাতে।
আর, গীতবিতানের পাতায় আমার ভাবনার মীমাংসাতে আপনাকেই পেয়েছি।
প্রেমে, বিরহে আপনার গীতবিতান ছিল সান্ত্বনা।
গেয়েছি গান “কেটেছে একেলা বিরহের বেলা” অথবা ” তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম”।
কত কত গান প্রকৃতি, পূজা, প্রেম পর্যায়ের ,
এই জীবনের পাতায় পাতায় নিত্য তোমার সৃষ্টির ছোঁয়া আমার বেঁচে থাকার রসদ।
দুঃখে অপমানে যত আঘাত পেয়েছি, নিরালায় গেয়েছি ‘ এই করেছো ভালো নিঠুর হে’।
তেমনি প্রেমিক মন আনন্দে গেয়ে উঠেছে “ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে– ও বন্ধু আমার”।
আবার বিষন্ন আবহে গেয়েছি ‘যে ছিলো আমার স্বপ্নচারিণী’।
আপনার গীতবিতান জড়িয়ে ধরেই ভুলতে চেয়েছি প্রেম, ভুলতে চেয়েছি বিরহ।
আমার যা কিছু আনন্দ, রূপ, মনে প্রাণে ভাবনায় আপনিই রয়েছেন সবের মাঝে।
আমি আপনাতেই আশ্রয় নিয়েছি। ভালোবাসি তাই।
প্রাতঃস্মরণীয় বরণীয় কবি আপনি।
আমার ভালবাসা।
প্রয়াণ দিবস নামেই, আপনি বাঙালি হৃদয়ে আজও অমর, অম্লান।
আপনাকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
