পোড়ো মন্দিরখানির ফাটা ভিটেতে অশ্বত্থ-বটের ডালপালা,
মনে হয় যেন তারা দু’হাত বাড়িয়ে করছে খুশিতে খেলা।
অতীতে কত লোকজন আসত এখানে দিনে ও অপরাহ্নে,
ধুয়েছে পদধূলি পূজাও দিয়েছে পেয়েছে প্রসাদ মধ্যাহ্নে।
সন্ধ্যাবেলায় ভক্তিগান হোত আরতি দেখত সকলে,
স্নিগ্ধ শীতল আঙ্গিনা তখন ভরে যেত কোলাহলে।
জ্যোৎস্না রাতে কত প্রবীণ আঙ্গিনায় আড্ডা দিত,
সে সব এখন অতীত, পোড়ো তাই সকলে হয় ভীত।
ভোরবেলা কত পাখির কূজন তরুলতায় ফুলের রাশি,
ধূপের গন্ধ সারাদিন ধরে বাতাসে আসত ভাসি।
আজ এসে দেখি মন্দির ভিতর দেবতার মূর্তি তো নাই
প্রদীপের বহু পুরোনো শিখার কালি কিছুটা দেখতে পাই।
পুকুরখানা ছোট্ট ডোবা কচুরিপানায় গিয়েছে ভরে,
রাত্রিবেলায় আসেনা কেউ এখানে শুধু জোনাকিরা ফেরে।
জনশূন্য পথ আলো আঁধারিতে বাঁশঝাড় ফেলে ছায়া,
বিজন রাতে অনেকে এপথে দেখেছে ভূতের কায়া।