ধানসেদ্ধ গন্ধ মেখে পথ হেঁটেছো কোনদিন…!
খিদের জ্বালায় পেটে গামছা বেঁধে উদাসীন গতি!
মুখে মিষ্টতার আবরণ বজায় রেখে একনিষ্ঠ শিল্পী,
রং তুলি ক্যানভাসে পান কৌড়ি ডুব মগ্নতা…!
ছবিটা সম্পূর্ণ হলে মঙ্গলার হাটে বিক্রি করে দু চার টাকার সাবুদানা কিনে আবার পরের দিনের রঙের খরচ তুলে নতুন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রত.!
অভাবী চোখে খড়ের চালের ফুটো দিয়ে সূর্য দেখার তৃপ্তি কিরকম জানা কি আছে কখনো?
প্রাসাদ হোক বা ছিটেবেড়া,বাঁশ দড়মা যার যেমন ভাগ্য লিখন,
তবু সকল বাড়ির মানুষ কখনো পথ হাঁটে উদাস পথিক হয়ে….।
প্রাসাদের অতৃপ্ত মালিক ছোটে কি যেন নেই তার !এই বুঝি কেড়ে নেবে কেউ যা কিছু সঞ্চিত সম্পদ!
গরিব কুঁড়ের লোকটা গামছায় চিঁড়ে বেঁধে পথ হাঁটে একটা কাজ যদি পাওয়া যায় আক্ষেপে…,
আর যার বাড়ি নেই আকাশের খোলা নিচে শুয়ে স্বপ্ন দেখে,
বেঁচে থাকতে চাওয়া সেই পথিক আকাশ জুড়ে সাঁতার কাটে,বাতাসের গুঞ্জনে দোল খায়..
তার যে চাহিদা কম,নেই হারানোর ভয়।
তবু সে জানে কেউ তাকে কাজ দেবে না…
এভাবেই সমাজের তিন স্তরের তিন প্রতিনিধি, তিন পথিক পথ হেঁটে চলেছে আগামীর সন্ধানে।