বেদনা বিধুর দুখি অন্তর তনয় কাতর জ্বরে,
কেমনে ডাকিছে ডাক্তার হায় কানাকড়ি নেই ঘরে।
উতলা যে মন কি হবে উপায় শুধু হাহা রব করে।
চক্ষু মেলিয়া তনয় মাতারে বলে কেন জেগে রহ,
আমার কারণে কেন মাতা মোর কষ্ট বেদন সহ
বিধাতারে ডেকে প্রার্থনা সাথে মুক্তির কথা কহ।
বিধির নিয়মে যেতে হবে ফিরে কেন ছলোছলো আঁখি,
ভাবো বুঝি মনে এই বেলা হায় ছেলে বুঝি দেবে ফাঁকি,
তাই কি ডুকরে কাঁদছো আড়ালে আঁচলে মুখটি ঢাকি।
কিন্তু জননী সুস্থির হয়ে মনে মনে করে পণ,
যাহা কিছু চিকিৎসা খাতে দেবে করে ব্যয় ধন,
পুত্রের বাঁচাতে প্রয়োজন হলে করবে কষ্টের রণ।
জলের পট্টি ললাট মধ্যে রেখে বলে বাছা মোর,
ঠিক হয়ে যাবে রোগ জ্বালা সব কাটবে কষ্ট ঘোর,
বৈদ্য বলেছে আসবে শীঘ্র নিশি হয়ে যাবে ভোর।
প্রভাত হইলে অদ্ভুতভাবে তনয় সুস্থ ভালো,
বিধাতা দয়ায় প্রাণ ফিরে পায় গহেতে খুশির আলো,
মাতার চোখেতে আনন্দাশ্রু ঘুচলো বিষাদ কালো।