অক্লান্তসেবক
দিনরাত খেটে প্রকল্প নিয়ে এলেন কর্মবীর,
বুঝলো না এর মর্ম হতভাগা ভাবী অগ্নিবীর!!
প্রদর্শনী
দেশের মুখ কখনও দলিত তো কখনও আদিবাসী,
চমকের বন্যায় আমরা নিত্য বানভাসি!!
ঠিকাদার
এটা সরকার নাকি ঠিকা চাকরির ঠিকাদার,
অবিলম্বে বুঝে নাও ভাই কোনটা দরকার!!
নতুন ভারত
রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন আর শিক্ষার রাজনীতিকরণ,
ভণ্ড দেশপ্রেমীদের কাছে নবভারতের রসায়ন!!
মাতা পণ্য
হায় মাতা, রাজার কাছে তুমিও পণ্য,
রাজনীতি হয়ে উঠেছে কী জঘন্য!!
আপন হল পর
অভিমান শেষে নব্য লায়লা-মজনু ফিরছে ঘর,
প্রকৃত যোদ্ধা সাধারণ কর্মীরা বরাবরই পর!!
বৈষম্য
যতো আর্থিক বোঝা জওয়ানদের বেতন ও পেনশন,
মন্ত্রী – সান্ত্রী ও অফিসারদের বেলায় নো টেনশন!!
অসুরক্ষিত সেনা
সেনার ভবিষ্যৎ যেখানে সুরক্ষিত নয়,
তারাই দেশরক্ষা করবে, তা কী হয়!!
সাদা কোথায়
নোটবন্দী ও ব্যাংক লুটের কালো টাকার খেলা,
ঐ দেখো ভাই বসেছে বিধায়ক কেনাবেচার মেলা!!
নয়া বাজার
ঘটা করে অর্থনাশে জনতার রায়ের কী দরকার,
বিধায়ক কেনাবেচা করে যদি গড়া সরকার!!
চমকের রাজনীতি
দলিত বা আদিবাসী শুধু রাষ্ট্রপতি কেন হয়,
প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন নয়!!
বাজিকর
আমরা যমজ ভাই – ইডি আর সিবিআই ,
দুই বাজিকর বলে, আর আমরা সবাইকে নাচাই!!
ভণ্ডামি
দেশে দমনপীড়ন আর বিদেশে ডাহা অনৃতভাষণ,
নবভারতের এটাই সততার উজ্জ্বল উদাহরণ!!
উজ্জ্বল আঁধার
উজ্জ্বলা নিয়ে এলো ফের সেই আঁধার,
ভোটমুখী প্রকল্পের নেই আর দরকার!!
লুঠেরা
মহানন্দে লুটছি মোরা লুটছি দেখো দেশ,
জনগণ যাক জাহান্নামে, আমরা আছি বেশ!!
অপকীর্তি
ভোট নামেই গণতন্ত্রের উৎসব – লোকদেখানো,
খেলা চলে কালোটাকার মাহাত্ম্যে ক্ষমতা হাতানো!!
সর্বনাশা জুটি
আমরা দুই গুরু-শিষ্য যেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ি,
সেখানে সব বরবাদ করে তবেই ছাড়ি!!
গোড়ায় গলদ
শিক্ষকের চাকরি নিয়ে এতো গোলমাল,
আশ্চর্য কী, শিক্ষাব্যবস্থা হবে বেহাল!!
লোক দেখানো
দলিত রাষ্ট্রপতি কী সুফল আনলো ,
দলিতদের হাল আরও বেহাল হলো!