অযোগ্যপ্রধান
প্রধান শিক্ষকের জ্ঞান নেই বর্ণমালার,
তার উপর বর্তেছে ভার স্কুল পরিচালনার!
নেতাএখন
নেতা – তোমরা আমাকে ঢেলে ভোট দাও,
আমি তোমাদের ফি বছর দু’কোটি চাকরি দেবো।
অবিচ্ছেদ্য
বাপ্পা ভাই আর নিত্য খুড়ো,
ক্ষমতা থাকলে এই জুটিকে পৃথক করো!
সুযোগ সন্ধানী
জীবন একবার হলেও সবাইকেই দেয় সুযোগ,
সদ্ব্যবহার করতে না পারলে অনিবার্য দুর্যোগ।
দেশের ভবিষ্যৎ
যেদিকে তাকাই শুধু দুর্নীতি আর বিদ্বেষ,
এভাবেই কী আমাদের দেশ হয়ে যাবে শেষ!
রাজনীতির হালচাল
নাবালিকা ধর্ষণে ধৃত সৎবাবা,
এই নিয়েও নোংরা রাজনীতি, তৌবা তৌবা!
লুকোচুরি
সবার কাছ থেকে আত্মগোপন যদিও সম্ভব,
নিজেকে নিজের কাছে লুকোবে কীভাবে?
মায়াবিনী
চন্দন – বনে যে গন্ধে ধাবিত উন্মত্ত সর্পিনী,
সেভাবেই কী আমার কাছে এসেছিলে মায়াবিনী!
মন
যখন যখন ভালোবাসা তোমার চোখে পড়বে,
ডাহুক ডাকা নিস্তব্ধ দুপুরে আমার কথা মনে আসবে ।
দোটানা
মনের অন্ধকার আর হাজার দ্বিধার বেড়াজাল,
ভালোবাসার কাছে ফেরা হল না তার !
স্বঘোষিত বিপ্লবী
স্বঘোষিত কতিপয় বানান বোদ্ধা,
ঘরে বসে অন লাইন ভাষা যোদ্ধা!
স্বঘোষিত কবি
দু’কলম লিখে নিজেকে ভাবছো রবি!
তুমি কি এতো বড়ো কবি?
প্রচার মাহাত্ম্য
কে জানতো এদ্দিন খায় না মাথায় দেয় জ্ঞানবাপী,
অপপ্রচারে ফোয়ারা হয়ে যায় শিবলিঙ্গ চুপিচুপি!
ইতিহাসের চাকা
ঔরঙ্গজেব আর হিটলাররা ফিরে ফিরে আসে,
যুগে যুগে সাধারণ মানুষ আঁখি জলে ভাসে।
দুঃখময় জীবন
হায় রে , একের পর এক আঘাত,
আমার জীবন হল যে কুপোকাত।
বুলডোজার১
শত্রুপক্ষ দেশের সীমান্তে বসত ও সেতু বানায়,
অভ্যন্তরে রাজা প্রজার উপর বুলডোজার চালায়।
বুলডোজার২
সংবিধান, আইন, আদালত আর নেই দরকার,
দানবীয় শক্তির হাতিয়ার একমাত্র বুলডোজার!
দাদা মাহাত্ম্য
নেতা বলে কথা, দাদা করে দলবদল,
তোরা আর কতোকাল,খেমটা নাচবি বল্!
মনকে জানো
চলেছো কোথায় সুখ – শান্তির খোঁজে,
তারা যে আছে তোমারই মনের মাঝে।
চোরাবাজার
চাকরি বিক্রিরও আছে দেখছি চোরাবাজার,
কারা হয় সেই বাজারের খরিদ্দার?
মুখোশধারী
যারা একদা করেছে মাতৃভূমিকে শ্মশান,
তারা আজ মুখোশধারী পক্ষ যুযুধান!
তাজমহল
হায় তাজমহল! তোমার দিন গিয়াছে ,
আশা করি, সাহিত্যসম্রাট মোরে ক্ষমিয়াছে।
বেনোজল
তাজমহল আজ আর নয় তাজমহল ,
স্রেফ ধর্মীয় সুড়সুড়ির বেনো জল!
আজবকাণ্ড
দেশে বিদেশে হরদম মিথ্যে বলেন রাজা,
বাস্তব সত্যি বললে শাস্তি পায় প্রজা!
ধাপ্পা
ভোটের মুখে প্রকল্প আর খয়রাতির বন্যা,
বৈতরণী পেরোলেই প্রজার কপালে কান্না!
অধোগতি
দাবি করি না শিক্ষা চাই, চাকরি চাই,
মহানন্দে রাজকীয় প্রাসাদ বানাই!
অন্ধভক্ত
চারিদিকে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ,
আমরা তবু বহাল তবিয়তে আছি বেশ!
হায় শিক্ষা
শিক্ষিত অফিসার মূর্খ নেতার হুকুম তামিল করে,
শিক্ষা তখন আদৌ কী কোনও মূল্য ধরে!!
পার্থক্য
ভারতীয় বংশোদ্ভূত দলিতকন্যা লন্ডনে মেয়র হয়,
ভিন ধর্মে বিয়ে করে দেশে দলিতের মৃত্যু হয়!
নীতিহীনতা
শিক্ষকতার চাকরি পেতে করলে তঞ্চকতা,
মহান শিক্ষকের আর রইল কী নৈতিকতা!
এ কোন্ শর্মা
নূপুর থেকে ওঠে জানি নিক্কণ,
এখন দেখি ওঠে শুধু বুক্কন!
দানবীয় শাসন
শাসনদণ্ড যদি যায় দানবের হাতে,
মানুষ তখন মরবেই কাপড়ে ভাতে!
দেশের দুরবস্থা
বিদ্বেষ ভাষণে যাদের থাকার কথা কারাগারে,
তারাই কিনা পায় রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা অকাতরে!
ভণ্ড দেশপ্রেমিক
স্বাধীনতাবিরোধী ব্রিটিশ দালালরা দিচ্ছে দেশপ্রেমের পাঠ,
দেশের ভবিতব্য হবে কী তবে গড়ের মাঠ!
কলমের জোর
সাংবাদিকের কলম বন্দুকের থেকে কম নয়,
যদি না সেই কলম দালালের হাতে হয়!
নীরবতা সম্মতির লক্ষণ
আধুনিক ভারতের অভিজ্ঞান – ঘৃণা ভাষণ,
নীরবে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে প্রশাসন!!
মিথ্যা বেসাতি
বছরে দুই কোটি কাজ নেমে এসেছে দশ লাখে,
মহানন্দে স্বাগত জানাও ফুলচন্দনে ও শাঁখে!!
প্রতিকার
পরিবেশ দূষণের নয়া উপাদান ঘৃণা ভাষণ,
অবিলম্বে চাই অনুঘটকদের সমূলে বিতাড়ন।
দ্বিচারিতা
সমালোচনা করে বলবো খাঁচাবদ্ধ তোতাপাখি,
আবার তার উপরেই অগাধ আস্থা রাখি!
শিরোনাম প্রিয়
বিচারক পছন্দ করেন থাকতে সংবাদের শিরোনামে,
বোঝা দুষ্কর কী হতে চলেছে বিচারের পরিণামে!
প্রতারণা
আবার নতুন গল্প – অতিথি সেনা,
পাখির চোখ চব্বিশের ভোট কেনা!
উন্নয়ন
ধনী ও দরিদ্রের ক্রমাগত বাড়ছে ব্যবধান,
বাছাই করা গুটিকয়েক ধনীর হচ্ছে উত্থান!