শ্রাবণের মেঘ খেলে দেয়া সনে
গোধূলি বেলা তখনও
হাসনুহেনার ঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত,
উদাসীন হাওয়া খেলছে অবিন্যস্ত।
মেঘলা অম্বর পাথার
শূন্য রাস্তা চলে গেছে বহুদূর,
নেই পথিকের আনাগোনা
শ্যামলীমার ছোঁয়া সুমধুর।
কালো মেঘ ভাসে ছেঁড়া ছেঁড়া
সৌদামিনী খেয়ালে চমকায়,
মেদুরতা মনের জানালায়
ক্রমে আঁধারে ছায়।
হঠাৎ টুপ টাপ শব্দ
হিমেল ছোঁয়া বায়,
বৃষ্টির গান মেঘমল্লার
নন্দিত গমক গায়।
ছাতা মাথায় নিভৃতে চুপে
হাত বাড়িয়ে ছুঁই বৃষ্টিকে,
স্পর্শ পেয়ে হৃদয় রাঙে
উপভোগ করি অপরূপ সৃষ্টিকে।
