এক্স রে
রতন রাত এগারোটার দিকে ওর প্রেমিকা স্নেহাকে ফোন করলো। এতো রাতে রতনের ফোন দেখে একটু অবাকই হয়ে গেছিল ও। আবার ওর সামনে তখন ওর বাবা মা আর দাদা বসে ছিল।
আসলে ওরা তখন সবাই একসাথে ডাইনিং টেবিলে বসে ডিনার করছিল। খুব ভাগ্য ভালো ছিল যে ওর ফোনটা ডিএনডি মোডে রাখা ছিল। নাহলে এতক্ষণে প্রশ্নের পর প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। এমন জেরার মুখে পড়তো যে পুলিশও হয়তো চোরকে ধরে এরকমভাবে জেরা করেনা।
ডিনার হবার পর স্নেহা নিজের ঘরে এসে রতনকে ফোন করলো। রতন ফোনটা রিসিভ করতেই স্নেহা বলে উঠলো
“কি হলো এতো রাতে ফোন করেছ কেন? শরীর খারাপ করেছে নাকি? আজ যে এক্স রে করবার কথা ছিল করেছ কি? জানো তখন বাবা দাদা মা সবাই আমার সামনে ছিল। তখন ডিনার করছিলাম। এরকম হুটপাট করে ফোন করলে হয়? একটু বোঝার চেষ্টা করতে হবে তো? “
“আরে রাখো তো? তুমি যে বলো আমার বুকের মধ্যে তুমি আছ। কিন্তু এক্স রে তে যে দেখালো শুধু হাড্ডিগুড্ডি। ওখানে কোথাও তো তুমি নেই। এই দেখে জানো আমি কি করেছি?”
“কি করেছ?”
” ঐ এক্স রে মেশিনটা ভুল বলে ভেঙে দিয়ে এসেছি। এখন ওখানকার লোকজন বাবাকে চাপ দিচ্ছে মেশিনের টাকা দিতে হবে বলে।”
এই কথা শুনে স্নেহা মাথায় হাত দিয়ে…………..।।