উদ্ভাসন
ঢাকুরিয়া লেকের একটা বেঞ্চিতে একযুবক বসেছিল। আমি তার পাশেই গিয়ে বসলাম। তাকে চিন্তান্বিত দেখে বললাম, কি হয়েছে বাবা, এত চিন্তা করছ কেন?
আমার প্রশ্ন শুনে, যুবকটি তার স্ত্রীর দোষত্রুটির সম্পর্কে আমার কাছে গরগর করে বলে গেল। সব শুনে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
– তোমায় কে রান্না করে দেয়?
– আমার মিসেস।
– তোমার জামাকাপড় কে ধুয়ে দেয়?
– আমার স্ত্রী
– ঘর-সংসার কে গুছিয়ে রাখে?
– আমার পত্নী।
– অসুখ-বিসুখে, বিপদে আপদে কে তোমার পাশে থাকে?
– আমার ঘরণী।
– আপনজনদের ছেড়ে সারাজীবনের জন্য কে তোমার কাছে এসেছে ?
– আমার সহধর্মিণী।
– তোমার স্ত্রী এত কাজ করে, তোমার খেয়াল রাখে। তার জন্য কি তুমি তাকে কোনও অর্থ দাও?
– না
– তার একটা দোষ তোমার চোখে বড় হয়ে উঠল, আর এতগুলি গুণ, তোমার চোখে পড়ল না?
যুবকটি আমার কথা শুনে, মুগ্ধ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমি তো কখনও এভাবে ভেবে দেখিনি। আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন। বলে সে আমাকে দু’হাত জোড় করে নমস্কার জানিয়ে, বড় বড় পা ফেলে বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল।