আমি জাত চাইনা, আমি চাই –
শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের হাত,
আমি সময় চাইনা, আমি চাই বদলা
প্রতিবাদ আর তাৎক্ষণিক প্রত্যাঘাত।
আন্দোলনের ঐতিহাসিক পালাবদল
লড়াইটা যাদের খাদ্যের জন্য হাতের,
আমার প্রতিবাদ তাদের বিপক্ষে আজ
যারা ভাতের বদলে লড়াই করে জাতের!
আজ পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত দেশ
ভোগবাদী গ্রাস স্বাধীনতার ফসল,
দেশ, মাটি, পতাকা স্বাধীন তবু-
মানুষের চোখে জল অনর্গল!
মহাকাব্যের দখল যুদ্ধ আজও
বন্দুক হাতে মুখ বাঁধা আজ যোদ্ধা,
বিশ্বায়নের পরিবর্তিত রসায়ন
তামাম দুনিয়ায় বিলুপ্ত আজ বোদ্ধা!
পৃথিবীটা মত অধুনা অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র
তারই জের সন্ত্রাস, ধর্ষণ, শোষণ,
শিশুর স্পন্দন স্তব্ধ হয়েছে আজ
পৃথিবীর মর্তে ক্ষমতায় দুঃশাসন!
দেশ সংক্রমিত আতঙ্ক আর ভয়ে
গ্রাস করে আজ অপরাধ অনাবিল!
গলগন্ড রোগে মৌনতা মহৌষধ
প্রতিবাদী মুখ দরজায় দিয়েছে খিল!
মানবিকতার কি বিভৎস পরিণতি
অঙ্কুরোদগমে হত্যা আজকের সীতা!
বর্বর, নৃশংস সেই হত্যাকারীর নাম
পামর, পাষণ্ড, ওই ভ্রূণেরই পিতা!
ধর্ষনের আজ নবতর সংযোজন
ধর্ষিতা ধরিত্রীর অতলান্ত অবক্ষয়!
ধর্ষকের উদগ্র জৈবিক আগ্রাসনে
একবিংশে আজ পাগলীও মা হয়!
প্রোমোটার রাজে বেহাত জমির দখল
দলিল বইটা যেনো আনুমানিক ইতিহাস,
ভূমিপুত্ররা হারায় পৈতৃক ভিটে জমি
মেহনতি মানুষের অদৃষ্টের পরিহাস!
বিশ্ব মশগুল বিশ্বায়নের প্রবাহে
উষ্ণায়নে গরীবের চামড়ায় ক্ষত!
উচ্চবিত্তের বাতানুকুল জীবন যাপন
নিম্নবিত্ত দহনে পোড়ে অবিরত!
বারুদ চেনাতে চাইনা ধ্বংসের কারবারি
রক্তের বোতলে দুফোঁটা রক্ত ভরুক,
মেহনতি জানে শরীরের ঘামে ভেজাতে মাটি
আর চাইনা পৃথিবীতে রক্ত ঝরুক!
গোয়ালার মুখে পাতানো দই মিষ্ট
বিদ্যার আজ সেই মত ব্যবহার,
শিক্ষার কাছে শিক্ষক আক্রান্ত
দাতাকে প্রদেয় গ্রহীতার উপহার!
আজ শোক ভুলে চেয়েছি অশোক
আজ মরণ ভুলে চেয়েছি প্রাণের স্ফুরণ,
যদি বুদ্ধকে ভুলে আজ যুদ্ধ বাঁধে
তবে শুদ্রের হাতে আমার উদগীরণ।