এই যে বাঙালি ঘুম থেকে ওঠো,
মটন বা চিকেন-দোকানে লাইন দিতে হবে!
ছুটির দিন বলে কথা,
ভুড়িভোজন করতে হবে না?
তারপর অখণ্ড বিশ্রাম হবে নিতে।
উফ্, কী গরম পড়েছে মাইরি,
কেন, ঘরে ঠাণ্ডা মেশিন আছে তো?
নিদেনপক্ষে কুলার বা ফ্যান আছে।
বাজার মূল্য রোজ বাড়ছে হু হু করে,
গরম আর মূল্যবৃদ্ধি প্রতিযোগিতায় মত্ত,
বাঁচার কী উপায় তবে?
ধুস্, আমাকে নিয়ে টানাহ্যাচড়া কেন?
অন্যরাও তো আছে নাকি?
আর ‘ ওরা ‘ কী নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে!
আচ্ছা বেশ।
দরিদ্র কৃষক – শ্রমিকদের দুর্দশার কথা,
রোজ খবরের কাগজে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা,
কিংবা হচ্ছে খুন বা পুড়ছে বাড়ি,
তদন্তের নামে খিচুড়ি পাকাচ্ছে, তার বেলা?
আরে ভাই, ওরা আছে কোথায়!
‘ ওরা ‘ কারা?
বোঝে না যেন আস্ত ন্যাকা ষষ্ঠী!
ওরা বুদ্ধিজীবী ।
বুদ্ধিজীবীদের দল কী করছে!
হায় বেচারা বাঙালি বুদ্ধিজীবী,
প্রতিবাদী হলেও সমালোচনার তির,
চুপচাপ থাকলেও নেই নিস্তার!
সব ঘটনায় তোমাদেরকেই প্রতিবাদী হতে হবে!
আবার বেশি প্রতিবাদী হলে রাষ্ট্রের রোষানল,
তোমরা হলে শাঁখের করাত!
আমরা জনপ্রতিনিধির কাছে জবাবদিহি চাইবো না।
প্রতিশ্রুতি খেলাপিদের দলের নিরিখে দেখবো!
তাদের দোষ নেই, থাকতে পারে না!
তারা যে আমাদেরই প্রতিনিধি গো!
কতো কাছের, কতো পিরিতের!
বাঙালি তুমি জেগে ঘুমিয়ে থাকো,
সাতে – পাঁচে গেলে তোমার চলে না,
শ্মশানের শান্তিই তোমার জন্য শ্রেয়!
এই বাঙালি আর সেই বাঙালিতে কতো তফাৎ ,
যে বাঙালি একদিন ভারত-পথিক ছিল।
আমরা কী বিবেকানন্দ-নেতাজি-রবি-নজরুলের উত্তরসূরী!
একটু আত্মচিন্তন করা যায় না ??