আই লাভ ইউ
রমেন খুবই অসুস্থ। ওর বাড়ির লোকজন উপায়ান্তর না পেয়ে একটা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল ওকে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলো ওকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। অগত্যা আর কি করা। ডাক্তারের কথামতো একটি নামকরা বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলো ওকে।
দিনে দু তিনবার ডাক্তার এসে দেখে যাচ্ছে । আর ডিউটিরত নার্সকে কিভাবে কখন কোন ওষুধ কতোটা খাওয়াতে হবে বলে দিয়ে যাচ্ছেন। দুতিনদিন ও প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। তারপর একটু একটু করে ওর জ্ঞান ফিরতে শুরু করলো।
ওর জ্ঞান ফিরবার পরেই ওর আসল চিকিৎসা শুরু হবে। ওর একটা অপারেশন করালেই ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু সেই অপারেশনের জন্য ওর জ্ঞান ফেরাটা খুব জরুরী।
কিন্তু জ্ঞান ফিরে আসার পরেই ওর চোখে রঙিন নেশা লাগলো। রমেনের মনে হতে লাগলো এতোদিন ধরে বোধহয় এই নার্সকেই চাইছিল। এই হাসপাতালের নার্সদের পোশাক আশাক ওকে খুব টানতে লাগলো। ওর জন্য যে নার্স ছিল সে দেখতে খুব সুন্দর। আর খুব বেশি বয়সও নয়। ও দেখেশুনে যা বুঝলো নার্সের বয়স ওর মতোনই হবে
এখানেই বাঁধলো যতো গোল। প্রায় সমবয়সী বলে ও বেশ উৎসাহিত হয়ে নার্সের সাথে গল্প করতে শুরু করলো। নার্সটিও ওর সাথে বেশ কথা বলতে শুরু করেছে।
ওরা গল্প করছিল এমন সময় বিকেলের দিকে ডাক্তার এলেন। আর ওকে স্বাভাবিক দেখে বললেন আমি তোমার বাড়িতে ফোন করে দিচ্ছি পরশুদিন তোমার অপারেশনটা করবো। আর অপারেশনের পর তুমি একদম সুস্থ জীবন যাপন করবে।
আপনি যেটা ভালো বুঝবেন ডাক্তারবাবু।
ডাক্তারবাবু নার্সকে পাশে ডেকে বললেন ওকে মানসিক ভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপনার।
নার্স ডাক্তারের সমস্ত নির্দেশ শুনে নিলো। ডাক্তার চলে যেতেই ও রমেনের বেডের পাশে এসে বসে পরলো।
কি হলো কে জানে। ওরা দুজনে বেশ ভালোভাবে কথা বলছিল। রমেন হঠাৎ নার্সকে বললো আই লাভ ইউ, সিস্টার।
শুনে নার্সটি একটু ঘাবড়েই গেছিল। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। তারপরেই নার্সটি উত্তর দিল আই লাভ ইউ টু, ব্রাদার।
শুনেই রমেন……………।।