স্বপ্নে সেদিন বাঁশ বাগানে গিয়েছিলাম একা।
ইচ্ছে হলো সেথায় যদি পাই গো ভূতের দেখা।।
মামদো, পেত্নী, ডাইনি সেথায় থাকবে একত্রেতে।
আর থাকবে ভূতের রাজা, তার মন্ত্রী ভূতের সাথে।।
চেয়ে নেবো তিনটি যে বর ভূতের রাজার কাছে।
থাকবে না আর দুঃখ কোনো এই ভেবে হই খুশি।।
গান শোনাবো, নাচ দেখাবো করবো তাকে খুশি।
ভূতের রাজা হৃষ্ট মনে বর দেবে আজ বুঝি।।
প্রথম বরে নেবো চেয়ে অনেক অনেক টাকা।
নিঃস্ব আমি, গরীব বেজায় আমার ভাঁড়ার ফাঁকা।
টালির ঘরে কষ্ট ভীষণ বৃষ্টি এলে পরে।।
তাই, দ্বিতীয় বরে চাইবো আমি একখানা ঘর পাকা।
তৃতীয় বরে ভাবছি যখন, আর কি যে যায় চাওয়া?
এমন সময় গিন্নি এসে, চেঁচায় এমন জোরে।
স্বপ্ন ভেঙে আবার আমি আমার ভাঙা ঘরে।।
রেগে আগুন তেলেবেগুন গিন্নি যে দেয় গাল।
পোড়ামুখো মিনসে ঘুমিয়ে থাকবি চিরকাল?
একি ধরন? কুড়ের মরন!
নেই কেনো কাজ কোনো?
আজ না গেলে খালি পেটেই কাটবে যে দিন জেনো।
গিন্নি থামো! শোনো, এবার একখানা কই কথা।
ভূতের রাজার বর পেয়েছি থাকবে না আর ব্যথা।।
দু দুটো বর নিলাম চেয়ে, আর একটা ছিল বাকি।
চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গলো তোমার
হলো ষোলো আনাই ফাঁকি।।
আমার কথায় গিন্নি তখন উঠলো আরো জ্বলে।
দিন দুপুরে স্বপ্ন দেখা?
গায়ের উপর জল দেবো আজ ঢেলে।।
নেই কোনো কাজ হতচ্ছাড়া, কেবল কাজে ফাঁকি?
মারের চোটে স্বপ্ন হবে একশো আনাই মাটি।।