অপারেশন
রমেন খুবই অসুস্থ। ওর পরিবারের লোকজন ধরে বেঁধে ওকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আউটডোরের ডাক্তার দেখে ওকে ভর্তির জন্য বলে দিলেন।
ও বাড়ির লোকজনকে বলতে লাগলো আমি হাসপাতালে ভর্তি হবো না। তোমরা আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো।
কিন্তু বাড়ির লোকজন নাছোড়বান্দা। ডাক্তার বলেছেন ভর্তি হতে ওকে ভর্তি হতেই হবে। ওকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ভর্তি করানো হলো অবশেষে।
ডাক্তার এলেন। দেখে শুনে কিছু টেষ্ট করতে দিলেন। সবটাই এখানেই হবে। সেইমতো ওকে স্ট্রেচারে বসিয়ে ল্যাবরেটরির দিকে নিয়ে গেল হাসপাতালের কর্মচারীরা। একে একে সব টেষ্ট করানো হলো। সব কাজ হয়ে যাবার পর ওকে আবার ওর বেডে নিয়ে আসা হলো।
ওর বেডে ও শুয়ে থাকলো। রিপোর্ট হাতে আসবার পর ডাক্তার দেখলো মন দিয়ে। তারপর বাড়ির লোকজনকে ডেকে বললেন আমি ওর রিপোর্ট ভালো ভাবে দেখেছি। ওর একটা ছোট অপারেশন করালেই ও সুস্থ হয়ে যাবে। আর এই অপারেশনটা খুব রিস্কিও নয়। সাফল্য রেট একশো শতাংশ।
এখন আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত জানালে আমরা অপারেশনের দিকে যাবো।
পরিবারের লোকজন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে অপারেশনের পক্ষেই মত দিলো। ডাক্তারবাবু একটা ফর্ম হাতে দিয়ে বললেন এটাতে একটা দস্তখত করে দেবেন।
এটা কি ডাক্তারবাবু?
এটা একটা সম্মতিপত্র যেখানে লেখা রয়েছে আপনাদের সম্মতিক্রমে এই অপারেশন করা হবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে আমাদের কোন দায় থাকবে না।
কিন্তু এই যে বললেন এই অপারেশনে কোন ঝুঁকি নেই। সাফল্য একশো শতাংশ। তাহলে এখন এই ফর্ম ভরতে বলছেন কেন?
দেখুন এটা আমাদের ফর্মালিটি, দেখাতে হয় তাই দেখানো। আর আপনার সই না করলে আমরা এই অপারেশন করতে পারব না।
সব ফর্মালিটি হয়ে যাবার পর রমেনকে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো।
ডাক্তারবাবু অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে অপারেশনের জন্য তৈরী হলেন।
ডাক্তারবাবু বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন এতো হাত পা কাঁপার মতো কিছু হয়নি সম্রাট।এই অপারেশনে কোন রোগী মারা যায় না।
যাক শুনে আশ্বস্ত হলাম ডাক্তারবাবু। অন্ততপক্ষে মারা যাবো না। কিন্তু আমার নাম তো রমেন, সম্রাট তো নয়। তাহলে আপনি সম্রাট বলছেন কেন ডাক্তারবাবু।
ডাক্তারবাবু অপারেশনের জন্য ছুরি কাঁচি হাতে তুলে নিতে নিতে বললেন জানি আপনার নাম রমেন। আমার হাত পা কাঁপছে বলে ঐ কথা বলে নিজেকে অভয় দিচ্ছি। সম্রাট আমার নাম।
এই কথা শুনে রমেন……………….!!!!!