না, কোনও ভুল হচ্ছে না আমার,
আমি নিশ্চিত, এই তুমি নও সেই তুমি,
সেই তুমি-র একটি প্রকৃত দরদী মন ছিল,
এই তুমি-র মনটা বড্ড বেশি কঠিন।
কেমন যেন, ঠিক মেলাতে পারছি না!
এক মূক-বধির মেয়ের ধর্ষণের প্রতিবাদে,
রাইটার্স বিল্ডিংসে গিয়ে ধরনার কথা স্পষ্ট মনে আছে,
পুলিশ চুলের মুঠি ধরে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে,
টেনে বের করছিল তোমাকে, স্পষ্ট মনে আছে,
তবু প্রতিবাদ থেকে বিরত করা যায় নি তোমাকে।
এই ছিলে ‘ সেই তুমি ‘।
সেদিন শাসকের অমানবিকতা দেখেছিলাম!
আর আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তুমি বিপ্রতীপে,
হাঁসখালির ধর্ষিতার প্রতি বিরূপ মন্তব্যকারী রূপে!
কোনও অনভিপ্রেত মন্তব্য না করলেই কী হচ্ছিল না!
আইন আইনের পথে চলে দোষী কঠোর শাস্তি পাক,
এই ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত ,
রাজ্যবাসীমাত্রই সেটা চায় তোমার কাছে,
সবার ভরসা, পারলে একমাত্র তুমিই পারবে,
কিন্তু আশার আলো দেখতে পারছি না যে!
মেয়ে তো মেয়েই হয়,
সে পূর্ণাঙ্গ হোক কিংবা মূক-বধির।
ধর্ষণ তো ধর্ষণই হয়,
হোক তা প্রেম বা বিবাহের ছলে ।
ধর্ষণের গ্লানি তো গ্লানিই হয়,
অন্তরে বোঝে শুধু ধর্ষিতা।
শাসক বুঝি শাসকই হয়,
পাল্টায় শুধু ব্যক্তি আর রঙ!
প্রধান দোষী হলেও দোষ শুধু শাসকের একার নয়,
বিরোধী দলগুলোও ধর্ষণ – মৃত্যু নিয়ে করে রাজনীতি,
বরাবরের ন্যক্কারজনক রাজনীতি কী বন্ধ হবে না!!
মিডিয়ার কাছে রগরগে খবর তো হটকেক!
প্রচারবৃদ্ধির কৌশলে এরাও কম যায় না!
বিচার বিভাগের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো,
জীবন চলে গেলেও বিচার জগদ্দল পাথর!
পুরো সিস্টেমটাই ঘুণে ঝরঝরে করে দিয়েছে,
বিপন্ন সাধারণ মানুষ গিনিপিগ ছাড়া আর কিছু নয়!
অবিলম্বে একটা গণজাগরণ খুব আবশ্যক।