সমুদ্রে সে ডুবেছিল, সমস্ত যৌবন-কাল, রত্নের সন্ধানে–
রত্ন নয়, পেয়েছে সে বুক ভরে নীল অন্ধকার
বরং সমুদ্র-স্বাদ কয়েকটি শিশির-বিন্দু ছিল তার প্রাণে
দু’চোখে নীলের নেশা, যৌবনের দৃপ্ত অহঙ্কার।
যদিও সময় ছিল বাউলের মতো তৃপ্তিহীন
পার্থিব আলোয় খুঁজে জীবনের বিস্ময়ের ভাষা
সামান্য স্বপ্নের মতো, চেয়েছিল, শোধ করে মুহুর্তের ঋণ
বিষের মতন তীব্র যুবতীর স্থির ভালবাসা ।
তারপর একদিন চুলের বাদামী রঙে চুপে চুপে মিশে
বণিকের রূপ ধরে সময় দাঁড়ালো তার কাছে
লাভ ক্ষতি হিসেবের দিকে শুধু চেয়ে নির্নিমেষে
দেখলো সমস্ত ঋণ ভবিষ্যৎ-গর্ভে জমে আছে।
রক্তে আর তেজ নেই, দু’চোখে সমুদ্র আরো গভীর অতল,
জলের নেশায় ডুবে–সে শুধুই পেলো অশ্রুজল ।